BRAKING NEWS

দুর্গোৎসবে ম্লান গণ্ডাছড়ার রাস্তাঘাট, হতাশার ছাপ মৃৎশিল্পীদের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি, গণ্ডাছড়া, ৪ অক্টোবর: একদিকে বন্যা অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দৌলতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দ। তার উপর এই বছর গন্ডাছড়ায় দুর্গোৎসব না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মৃৃৎশিল্পীদের মুখে হাসির বদলে দেখা যাচ্ছে হতাশার ছাপ। গন্ডাছড়াবাসীর এবারের দুর্গোৎসব অভিশপ্ত।

এবার গোটা মহকুমা এলাকায় মায়ের পূজো হচ্ছে না শুনে  মহকুমার মৃৎশিল্পী সহ ব্যবসায়ীদের পরিবারে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা। এরপরও অনেকটা আশা নিয়ে বিশেষ করে কাপড় ব্যবসায়ীরা মহকুমার বিভিন্ন বাজারে হাটবারে বাজার করতে যাচ্ছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষের মনে আগের মত উৎসবের কোন আনন্দ নেই। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে নেই কোন বেচাকেনা।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহকুমা জুড়ে এই বছর তিন থেকে চারটি পূজোর আয়োজন করা হচ্ছে। যদিও বিগত বছরগুলিতে কুড়ি থেকে বাইশটা পুজোর আয়োজন করা হতো। রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতির এলাকা হিসাবে পরিচিত রইস্যাবাড়ি বাজার কমিটি, গন্ডাছড়া থানার অন্তর্গত বিধায়ীকার এলাকা  রামনগর বাজার কমিটি, জগবন্ধু পাড়ায় একটি  এবং মহকুমা আরক্ষা প্রশাসন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য এই বছর প্রথম বারের মত পুজোর আয়োজন করছে। তবে এক্ষেত্রে চলছে চাঁদার জুলুম এমনটাই অভিযোগ ব্যবসায়ী মহলের।

যেখানে প্রশাসন আনঅফিসিয়ালিভাবে পূজো উদ্যোক্তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন পুজোর করার জন্য সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। এদিকে বাইরের বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মহকুমার প্রত্যন্ত বাজারগুলিতে ব্যবসা করতে গিয়ে তারা কোথাও কোথাও পুজো উদ্যোক্তাদের এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে।  উল্লেখ্য গত ১২ জুলাই গন্ডাছড়া মহকুমার ৩০ কার্ড আনন্দ মেলায় এক উপজাতি যুবক দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।

পরবর্তীতে আগরতলা জিবি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গণ্ডাছড়া মহকুমায় সৃষ্টি হয় অগ্নিগর্ভ। এই ঘটনায় অউপজাতি ১৬৫ পরিবারের বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে বশীভূত করা হয়।  পরবর্তীতে তারা গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ভবনে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। সেখানে সরকারি উদ্যোগে তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। 

মুখ্যমন্ত্রীর গন্ডাছড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফরকালে ওনার ঘোষণা মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্তদের তিন লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পাশাপাশি তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০ কার্ড, ৩৩ কেবি, ১২ কার্ড, এমআর দাস পাড়া, হরিপুর বিষ কার্ড এলাকায় অস্থায়ীভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এইসব এলাকায় জোরদারভাবে চলছে ক্যাম্পের নির্মাণ কাজ। আশা করা হচ্ছে, আসন্ন দুর্গোৎসব এর আগেই স্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *