ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। দুর্দান্ত জয় ব্লাডমাউথের।তাও সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়নের দাবিদার লাল বাহাদুর ব্যয়ামাগারকে হারিয়ে। প্রথমার্ধে ব্লাড মাউথ তিন গোলে এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জয় ছিনিয়ে একেবারে দ্বিতীয় শীর্ষে উঠে এসে রানার্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয় এবং তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ব্লাড মাউথকে এবার রানার্স খেতাব এনে পেয়েছে। শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স চন্দ্র মেমোরিয়াল সুদৃশ্য ট্রফির পাশাপাশি পেয়েছে ৭৫ হাজার টাকার প্রাইজ মানি।
গোলের শুরু খেলার ৯ মিনিটের মাথায়। টাকেল লাম্বাম ববিশের পা থেকে। ৯ মিনিট বাদে মালসালুম কিমা সাঙ্গার গোলে ব্যবধান বেড়ে দুই -শূন্য হয়। প্রথমার্ধের খেলার শেষ পর্যায়ে তাখেল লাম্বা ববিশে আরও একটি গোল প্রথমার্ধে ব্লাড মাউথ ৩-০ তে লিড নেয়। পক্ষান্তরে লালবাহাদুরের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা গোল পরিশোধের কোনও সুযোগ পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় লাল বাহাদুরের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার ভান্নলাল খালমোয়ানা একটি গোল পরিশোধ করে ব্যবধান কমিয়ে আনে। লাল বাহাদুর খেলোয়ারদের গতি বেড়ে যায়। চেষ্টা চালায় গোল পরিশোধ করে খেলায় প্রথমত সমতা ফিরিয়ে আনতে। ৭২ মিনিটের মাথায় রিচার্ড থোয়ামা আরও একটি গোল করলে লাল বাহাদুর এর পক্ষে ব্যবধান কমে দুই-তিন হয়। ম্যাচের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। খেলোয়ারদের মধ্যে রাফ এন্ড টাফ আক্রমণ প্রতি আক্রমণ চলতে থাকে। ম্যাচের লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে রেফারিও কন্টিনিউ হলুদ কার্ড দেখিয়ে খেলোয়াড়দের সতর্ক করতে থাকেন। এদিকে ৭৬ মিনিটের মাথায় ব্লাড মাউথের সুযোগ সন্ধানী এম নরেশ মেথি আরও একটি গোল করলে ব্যবধান ৪-২ হয়। পরবর্তী সময়ে এমনকি একেবারে শেষ মুহূর্তে ইনজুরি টাইম পর্যন্ত কার্ডের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হলেও আর কোনও গোলের সুযোগ কেউ বের করতে পারেনি। উল্লেখ্য, জোড়া গোলদাতা ববিশকে প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব দেওয়া হয়। এদিকে দুইবার হলুদ কার্ড দেখার সুবাদে অমিত জমাতিয়াকে একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি মাঠ থেকে বের করে দেন। এছাড়া, ব্লাড মাউথের আরও তিনজন এবং লাল বাহাদুর ব্যয়ামাগারের চারজনকে খেলায় অসদাচরণের দায়ে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি নিজাম তামুলারি, বিপ্লব সিংহ, পল্লব চক্রবর্তী ও সত্যজিৎ দেব রায়।