আগরতলা, ৪ অক্টোবর: দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মা বোনেদের মুখে হাসি ফোটাতে বস্ত্রদানের মতো সামান্য প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এটা সামাজিক দায়বদ্ধতারই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আসন্ন দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে শুক্রবার বড়দোয়ালী মন্ডলের উদ্যোগে আগরতলা পুর নিগমের ৩৪ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত এক বস্ত্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে এবছরও ওয়ার্ড ভিত্তিক মা বোনেদের জন্য সামান্য উপহার দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে আজ ৩৪ নং ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মূলত, এটা একটা মনের প্রশান্তি। পুজো উপলক্ষে সবাই আনন্দে মেতে উঠেন। যারা আমাদের মা বোন রয়েছেন তাদের সবাইকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই সামান্য প্রয়াস। এতে খানিকটা হলেও তাদের মুখে হাসি ফুটবে।
এই সামাজিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বড়দোয়ালী মন্ডলের সভাপতি সঞ্জয় সাহা, ৩৪ নং পুর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর জাহ্নবী দাস চৌধুরী সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য নেতৃত্ব।
এর আগে দুর্গোৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বড়দোয়ালী মন্ডল আয়োজিত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ২০ নং ওয়ার্ডের মায়েদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। শারদীয়া উৎসব সকলের জন্য ভালোভাবে অতিবাহিত হওয়ার প্রত্যাশা রাখেন তিনি।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা ভাষা সহ অন্যান্য কয়েকটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান সম্পর্কিত সংবাদ মাধ্যমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয় এবং সমগ্ৰ বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিছুদিন পর পরই একটা ইতিবাচক বার্তা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনা ও ভাবনা আমরা প্রত্যক্ষ করি। প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বাঙালি হিসেবে খুবই গর্ববোধ করছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি বাঙালি সহ জাতি জনজাতি সবার পক্ষ থেকে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মান প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর আন্তরিকতাকে প্রতিফলিত করে।
উল্লেখ্য, ‘বাংলা’ সহ মারাঠি, পালি, প্রাকৃত এবং অহমিয়া ভাষাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধ্রুপদী ভাষা (ক্লাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।