কলকাতা, ৪ অক্টোবর (হি.স.): এবিভিপি ‘বাংলা’ ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেবার দাবি জানিয়েছিল। তাদের ‘কৃষ্ণপত্রে’ (২০২১) প্রকাশিত হয় সে কথা। এ কথা জানিয়ে সংগঠনের তরফে ভাষাবীর রাজেশ-তাপসকে উৎসর্গ করা হহো বাংলা ভাষার ‘ধ্রুপদী’ স্বীকৃতির নেপথ্যের সম্মান।
বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পেল ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার সম্মান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যার ফলে বিশ্বের দরবারে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী ভাবে প্রতিষ্ঠিত হল বাংলা ভাষা।
শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ জানিয়েছে, “বিগত এক দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গে বাঙালির মাতৃভাষাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মক্ষেত্রে-সর্বত্র বঞ্চনা করার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন করেছে। শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা, মাতৃভাষায় পড়াশোনার পরিকাঠামোর অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যাকে জিইয়ে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তার সবচেয়ে মর্মান্তিক নিদর্শন ২০১৮ সালে দাড়িভিটে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের অকাল মৃত্যু।”
এবিভিপি দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “বাংলা ভাষার ইতিহাস অনেক পুরনো। সাহিত্য ও সংস্কৃতিগত ভাবে বাঙ্গলার স্থান দেশের মধ্যে অন্যতম। আমাদের মাতৃভাষাকে ধ্রুপদী মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি, মাতৃভাষার শিক্ষক চেয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ভাই রাজেশ ও তাপসকে এই সম্মান উৎসর্গ করছে এবিভিপি।”