নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ অক্টোবর: কথায় আছে বন্ধুত্বের কোন বয়স হয় না, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের সুখ দুঃখে পাশে থাকার নামই বন্ধুত্ব।বিশালগড় অফিসটিলার পঞ্চাশোর্ধ বন্ধু ব্যক্তি। আজ তারা সবাই নিজেদের নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাদের প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া এক বাল্যবন্ধু সময়ের পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে একেবারে পিছিয়ে। আশির দশকে সবাই একসঙ্গে লেখাপড়া করতেন একসঙ্গে খেলাধুলা করতেন।তাদেরই এক বন্ধুর নাম অসিত সাহা। অভাব অনটনের সংসারে প্রাইমারি স্কুলেই তার পড়াশোনা থেমে যায়। বর্তমানে খুব কষ্টে সংসার প্রতিপালন করে যাচ্ছেন রিক্সা চালিয়ে।
কয়েক মাস আগে তার পুরাতন রিক্সাটি ভেঙ্গে যায়। যার ফলে আর্থিক উপার্জনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন। দীর্ঘ ২২ বছর পর সেই বাল্যকালের এক বন্ধু বর্তমানে যিনি রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দেশ-বিদেশে সংগীত জগতে সুনাম অর্জন করেছেন জীবন কিশান। তিনি সেই বাল্যকালের বন্ধু অসিতকে দেখে তার রিকশা সহ একটা ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন।
সেই ছবি দেখে তার বাল্যকালের বন্ধুরা সবাই যোগাযোগ করে এক মঞ্চে এসে সিদ্ধান্ত নেয় তাদের বাল্যকালের বন্ধু অসিতকে সবাই মিলে একটি নতুন রিক্সা ক্রয় করে দেবেন। এবং বাল্যবন্ধু নামে তারা একটি সংগঠন ও নামকরণ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাল্যকালের সেই বন্ধুরা একত্রিত হয়ে বিশালগড় অফিসটিলা স্থিত রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে অসিত সাহার হাতে একটি নতুন রিক্সা ও পূজার প্রাক লগ্নে নতুন জামা কাপড় তুলে দেন। এই ঘটনাটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায় বাল্যবন্ধু নামক সংস্থার বাল্যবন্ধুরা। তাদের এই উদ্যোগ থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু শিখার সুযোগ পাবে বলে অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।