BRAKING NEWS

অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে: শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ অক্টোবর : ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্পের কার্যক্ষমতার বিকাশে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় শুরু করা হয়েছে র‍্যাম্প (রেইজিং অ্যান্ড অ্যাক্সিলারেটিং এমএসএমই পারফরমেন্স) প্রকল্প। আজ রাজ্যে এই প্রকল্পের সূচনা করেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। এছাড়াও শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বিত সচেতনতা কর্মশালা এবং যশস্বীনি অভিযানেরও সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্ব- উদ্যোগী, স্বসহায়ক দলের সদস্যা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাম্প প্রকল্পের সূচনা করে শিল্পমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্ব-উদ্যোগীদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তিনি বলেন, কর্মোদ্যোগীদের পাশে সর্বদাই বর্তমান সরকার রয়েছে। কিন্তু তাদেরও চেষ্টা ও সংযম রেখে এগিয়ে যেতে হবে। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে রাবার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বাঁশ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। রাজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ শিল্পই ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই পিএমইজিপি, স্বাবলম্বন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায়ও রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৯৩২ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, রাজ্যের জিডিপিতে এমএসএমই-দের ১১ শতাংশ যোগদান রয়েছে। তা আগামীদিনে আরও বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, এই র‍্যাম্প স্কিম আগামী ৩ বছর চলবে। এর মাধ্যমে রাজ্যে ৩,২০০ জন মডেল উদ্যোগী বানানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অনুষ্ঠানে আলোচনায় কেন্দ্রীয় এমএসএমই মন্ত্রকের (জিএ অ্যান্ড টিপি) অধিকর্তা বিনম্র মিশ্র বলেন, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দেশের এমএসএমই-এর সামগ্রিক বিকাশে সহায়তা করা। দেশের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে আজ ত্রিপুরায় এই র‍্যাম্প স্কিম সূচনা করা হয়েছে। এতে রাজ্যকে মোট ৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

সচেতনতা কর্মশালা ও যশস্বীনি অভিযানে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদিত সামগ্রীর বাজারজাতকরণ, প্রযুক্তি ব্যবহার, অর্থায়ন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ অন্যান্য যেসব বিষয়ে সমস্যা রয়েছে সেগুলি নিবারণে গুরুত্ব দিয়ে সামগ্রিক সহায়তা করা হবে। যশস্বীনি অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এমএসএমই মন্ত্রকের অধিকর্তা অঙ্কিতা পান্ডে বলেন, এর মাধ্যমে মহিলা স্বউদ্যোগীদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য কি কি করণীয় সেই সম্পর্কে সচেতন করা হবে। অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত করা হয়। উল্লেখ্য, এবছরের ২৭ জুন রাজস্থানের জয়পুরে প্রথম র‍্যাম্প প্রকল্পের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা স্বপ্না দেবনাথ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিল, জেম সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে যুক্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রশিক্ষকরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের এমএসএমই সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *