নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২৩ সেপ্টেম্বর:
উত্তর ত্রিপুরা জেলার কালাছড়া ব্লকের অধীন গোবিন্দপুর গ্রামের ১৪ জন নারী ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সহায়তায় ভুজিয়া, চানাচুর উৎপাদন করে উল্লেখযোগ্য আয় করছেন। তারা ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের কারখানা স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন।
মহারানী শীলের বাড়ির একটি ভাড়া করা ঘরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গোবিন্দপুর নন-ফার্ম কালেকটিভ নামে একটি উদ্যোগ শুরু হয়, যার পেছনে রয়েছে এই ১৪ জন নারীর অক্লান্ত পরিশ্রম। টিআরএলএম-এর মাধ্যমে তাদেরকে এক সপ্তাহের ভুজিয়া (চানাচুর) তৈরি করার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকে ১০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করে আসবাবপত্র ও কাঁচামাল সংগ্রহ করেন এবং নিজেদের হাতে ডাল গুঁড়ো করে বেসন তৈরি করে বাদাম ও পাপড় দিয়ে ভুজিয়া বানাতে শুরু করেন।
তাদের তৈরি ভুজিয়া (চানাচুর) এখন গ্রামের এবং শহরের দোকানদাররা সরাসরি কারখানা থেকে কিনে নিচ্ছেন। ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন থেকে পিএম এফএমপি প্রকল্পের অধীনে তারা ৪০ হাজার টাকা কম সুদে ঋণ পান, যা দিয়ে তারা তাদের উদ্যোগ পরিচালনা করছেন। বর্তমানে তারা ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রুপের সদস্যরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকার একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জেলাশাসকের কাছে জমা দিয়েছে। এই তহবিল পেলে তারা মেশিনের মাধ্যমে ভুজিয়া (চানাচুর) উৎপাদন করতে পারবেন, যা বর্তমানে তারা হাতে তৈরি করছেন। তারা প্রতিদিন প্রায় ১৫০ প্যাকেট ভুজিয়া তৈরি করেন, এবং বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
এই মহিলারা এখন নিজেদের স্বাবলম্বী মনে করেন এবং তাদের জীবনের সঠিক পথ নির্ধারণে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অবদানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। প্রীতি দেবনাথ এবং জয়ন্তী দেবনাথ জানিয়েছেন, তারা এখন আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং পরিবারের খরচেও বড় ভূমিকা রাখছেন।