নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: পুলিশের তৎপরতায় বাঁচল এক ব্যক্তির দোকান। ধরা পড়লো চুরি করতে আসা চোর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও তথ্য বের করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে।
চুরির হাত থেকে শনিবার রাতে পুলিশের তৎপরতায় বাঁচলেন কমলপুর নেতাজি চৌমুহনীর অফিস রোডের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর চক্রবর্তী ওরফে অপু। আজ অপু নিজেই জানালেন, রাত পৌনে তিনটা থেকে তিনটা নাগাদ উনার মোবাইল নাম্বারে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। রিসিভ করে জানতে পারেন এটি থানার নাম্বার। থানার নির্দেশে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সামনেই উনার ভুসিমাল ও রামদেবের কোম্পানির বিভিন্ন সরঞ্জাম এর দোকানের সামনে পৌঁছান। গিয়ে দেখেন থানার পুলিশ কর্মীরা দাঁড়িয়ে। দেখেন দোকানের তালা ভাঙ্গা। পুলিশকে নিয়ে দোকানের ভিতরে ঢোকেন অপু। দেখা যায় দোকানের জিনিসপত্র তছনছ হয়নি। কিন্তু দোকানের শেলফের তলায় আত্মগোপন করে আছেন এক যুবক।
পুলিশের দাবড়ানি খেয়ে বের হয়ে আসা ওই যুবক জানায় তার নাম সজল দাস, বাবা হরেন্দ্র দাস। বাড়ি স্থানীয় মরাছড়ার লালছড়ি এলাকায়। ওই চোরকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। আসলে ফাঁকা এলাকায় গভীর রাতে হাত সাফাইয়ের উদ্দেশ্যেই তালা ভেঙে দোকানে ঢুকেছিল সে। কিন্তু পুলিশ যে চুপিচুপি নৈশ প্রহরা দিচ্ছে সেটি তার জানা ছিল না। পুলিশ বাহিনী দোকানের তালা ভাঙ্গা দেখে থমকে দাঁড়ায়। দরজায় লেখা নম্বরে ফোন করে অপুকে। এতে রক্ষা পেল ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর রুজি রোজগার।
পুলিশের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ওসি সঞ্জয় লস্কর। কমলপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে চোরেদের দৌড়াত্ব। দোকান, বাজার, বাড়ি কোথাও নিস্তার নেই তাদের হাত থেকে। যেহেতু একজন ধরা পড়েছে তাই তাকে করকে দিলেই বের হয়ে আসবে বাকি নামগুলো।