হাফলং (অসম), ২০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব নিয়ে ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন পূজা কমিটির সঙ্গে এক সভা হয়েছে।আজ শুক্রবার হাফলঙে জেলাশাসকের কার্যালয়ে সভাকক্ষে জেলাশাসক সীমান্তকুমার দাসের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় ডিমা হাসাও জেলায় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় জেলাশাসক বলেন, জেলার প্রত্যেক পূজা কমিটিকে আসাম পুলিশ সেবা সেতু পোর্টালে আবেদন করে পূজার অনুমতি নিতে হবে। পূজা কমিটিগুলি যদি পূজার জন্য অনুমতি না নেয়, তা-হলে পূজা অনুষ্ঠিত করতে দেবে না প্রশাসন। তাছাড়া পুজো-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পুজো প্যান্ডেলে সিসি টিভি লাগানো বাধ্যতামূলক। এছাড়া পূজা কমিটিকে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী থেকে এবং প্যান্ডাল নির্মাণের জন্য লোকনির্মাণ (পূর্ত) বিভাগ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
জেলাশাসক জানান, পূজা প্যান্ডালগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূজা কমিটিগুলিকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নিকবর্তী থানাগুলিতে ফটো সহ স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা অগ্রিম দাখিল করে পরিচয়পত্র নিতে হবে। পূজা প্যান্ডালগুলিতে পানীয় জল, পাবলিক পিএ সিস্টেম, অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখতেও বলেছেন জেলাশাসক।
পূজা প্যান্ডালে থার্মোকল এবং প্রতিমায় ক্ষতিকারক রং ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, প্রতিবারের মতো এবারও দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে দিয়ুং নদীতে। তবে দশমীতে নিরঞ্জন পর্ব প্রতিটি পুজো কমিটিকে বিকাল পাঁচটার মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক সীমান্তকুমার দাস।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার সহ প্রশাসনিক আধিকারিক, লোকনির্মাণ বিভাগ, হাফলং পুর পর্ষদ, এপিডিসিএল, অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর আধিকারিক, স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক এবং ডিমা হাসাও জেলার সব কয়টি পূজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণ।