বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ মৃৎ শিল্পীরা, লাভের পরিমাণ দিনদিন কমছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর: দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পূজার আর মাত্র একদিন বাকি। তারপরই শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও খুব ব্যস্ত কমলপুরের মৃৎশিল্পী রাজীব ভট্টাচার্য্য। মৃৎশিল্পী হিসাবে কমলপুরের রাজীব ভট্টাচার্য্যের সুনাম রয়েছে।

প্রতিবছর কমলপুর শহর ও শহর সংলগ্ন বড় বাজেটের ক্লাবগুলির দুর্গা প্রতিমা বায়না নেন।  যেকোনো দুর্গা প্রতিমা তিনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। যার জন্য এই মৃৎশিল্পীর চাহিদা অনেক বেশি। কমলপুর বড় বাজেটের ক্লাবগুলি যেমন – ডিয়ার, লক্ষ্মী নারায়ন, আপনজন, ইয়ুথ রিক্রিয়েশন, যুব সমাজ, আজাদ হিন্দ ইত্যাদি ক্লাব সহ মানিক ভান্ডারের ফ্রান্স ক্লাবের পূজা কমিটির নানা রকম চাহিদা অনুযায়ী দুর্গা প্রতিমা তৈরী করেন। ফলে ধলাই জেলা জুড়ে এই মৃৎশিল্পীর কদর রয়েছে।

মৃৎশিল্পী রাজীব ভট্টাচার্য্য উনার প্রতিমা কারখানায় কাজ করতে করতে বলেন, এবার তিনি কমলপুর মহকুমা জুড়ে ২৫টি দুর্গা প্রতিমা বায়না রেখেছেন। শিল্পী, ছোট ভাই ছাড়া কারখানায় নিয়মিত ৫ জন শ্রমিক দিবারাত্রি কাজ করে সময় মতো প্রতিমা তৈরী করে ক্লাব গুলির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এবার ভয়াবহ বন্যায় উনার কারখানায় জল প্রবেশ করে বিশ্বকর্মা ছোট ছোট মূর্তি গুলি নষ্ট করে দিয়েছে। এতে ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়েছে। নতুন করে ছোট ছোট মূর্তিগুলি আবার গড়তে হয়েছে।

দুর্গা প্রতিমার খড়,কাঠাম কোন ক্ষতি হয়নি,  বললেন মৃৎশিল্পী রাজীব ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো বলেন, দিন দিন প্রতিমা তৈরীর সামগ্রী সহ শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে। কিন্তু মূর্তির দাম একই রয়েছে। বন্যা হয়ে যাওয়ার পর জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবু এই পেশায় যুক্ত থাকার কারনে এই কাজ করতে হয়।