আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ আজ খন্ডন করার চেষ্টা করেছেন জনজাতি কল্যান মন্ত্রী বিকাশ দেবর্বমা। তাঁর দাবি, বিধায়ক শ্রী বর্মণ বিধানসভায় ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাই তিনি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। নইলে তিনি শ্রী রায় বর্মনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। কিন্তু, সত্যতা প্রমাণিত না হয়, তাহলে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে হবে, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বিধানসভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের আনা সমস্ত অভিযোগ একপ্রকার খন্ডন করার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি, রাজনীতিতে আসার আগে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ ঠিকেদারির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি, বিশাল সম্পত্তির মালিক তিনি। তাছাড়া, তাঁর পরিবারের সব সদস্য সরকারী চাকুরীতে যুক্ত রয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, মন্ত্রী পদে বসার আগে আগরতলায় দুটি বাড়িও ছিল তাঁর। তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা এবং পিতামহ বিশাল সম্পত্তির মালিক ছিলেন। প্রায় ২০০ কানি জমির মালিক ছিলেন তাঁরা। বিধায়ক সুদীপ বাবুর দেওয়া তথ্যের দ্বিগুণ সম্পত্তির মালিক বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন তিনি আরও বলেন, তেলিয়ামুড়ায় এবং খোয়াই বেহালাবাড়িতে তাঁর ছেলে ও স্ত্রীর নামে কোনো পেট্রোল পাম্প নেই। বিধানসভায় বিধায়ক শ্রী বর্মণ ভুল তথ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি, বিধানসভায় মাতৃভাষা ককবরকের আপমান করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শ্রী বর্মণ তাঁর রাজনৈতিক জীবন নষ্ট করতে চাইছিলেন। তাঁর অপরাধ তিনি জনজাতি পরিবারের সন্তান। কারণ, শ্রী বর্মনের বদ্ধমূল ধারণা, জনজাতিরা কখনোই ব্যবসায়ী হতে পারেন না। তাঁর কথায়, কংগ্রেস কখনো জনজাতিদের উন্নয়ন চায় নি। তাই ত্রিপুরাবাসী কংগ্রেসকে চিরতরে বিদায় দিয়েছেন।
এদিন তিনি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। নইলে তিনি শ্রী রায় বর্মনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। কিন্তু, সত্যতা প্রমাণিত না হয়, তাহলে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।