আগরতলা, ১৩ সেপ্টেম্বর: ভয়াবহ বন্যায় পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মোট ১৭১.৪১কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে গ্রামীন এলাকায় ১৫১.২৫ কোটি টাকা এবং ১৯টি শহর এলাকায় ২০.১৬ কোটি টাকা। আজ পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত এলাকায় স্বল্প সময়ে অতিমাত্রায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। যার ফলস্বরূপ ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। বন্যাকবলিত হয়ে রাজ্যের সমস্ত নীচু এলাকা প্লাবিত হয় এবং অধিকাংশ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যাকবলিত গ্রামীন ও শহর এলাকার বেশিরভাগ পানীয় জলের উৎস এবং পাইপলাইন ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞপ্তি আরও জানানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৮টি ভূ-পৃষ্ঠস্থ জল পরিশোধনাগার, ১২৬২টি গভীর নলকূপ, ২০৩৭টি স্বল্প ব্যাসের গভীর নলকূপ, ৪৩টি উদ্ভাবনী মূলক (ইনোভেটিভ) প্রকল্প এবং ৬৯.১৩ কিমি পাইপলাইন। পাশাপাশি ১,২০,৫৪৩টি কার্যকরী পানীয় জলের সংযোগেরও ব্যপক ক্ষতি হয়।উপরোক্ত পরিস্থিতির কারনে রাজ্যে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মোট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১৭১.৪১কোটি টাকা। যার মধ্যে গ্রামীন এলাকায় ১৫১.২৫ কোটি টাকা এবং ১৯টি শহর এলাকায় ২০.১৬ কোটি টাকা।
দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর ৪৪টি ভূ-পৃষ্ঠস্থ জল পরিশোধনাগার, ১২৫৫টি গভীর নলকূপ, ২০১৫টি স্বল্প ব্যাসের গভীর নলকূপ এবং ২৯টি উদ্ভাবনী মূলক (ইনোভেটিভ) প্রকল্পের সারাইয়ের কাজ এবং উপযুক্ত জীবানুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর পূনরায় পানীয় জল সরবরাহ চালু হয়, অর্থাৎ ৯৮.৫০ শতাংশ প্রকল্পের পূনরুদ্ধার সম্পন্ন হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে বন্যার সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে রাজ্যের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে নিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ করেছে এবং যেসকল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প সারাইয়ের কাজ এখনও চলছে সেখানে দপ্তর ৯৬টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে এখনও নিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ করে চলছে।

