ক্রীড়া প্রতিনিধি আগরতলা।কৈলাসহর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ও কৈলাসহর পুর পরিষদের সহযোগিতায় গত ১৯ আগস্ট থেকে কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় পুর পরিষদ ওয়ার্ড ভিত্তিক নৈশকালীন নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট।প্রথমবারের মত নৈশকালীন এই ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে খেলোয়ার থেকে শুরু করে ক্রীড়া প্রেমী দর্শকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। ১৯ আগস্ট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হলেও বন্যা পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকদিন খেলা বন্ধ ছিল। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পুনরায় খেলা শুরু হয়। একের পর এক ম্যাচ শেষে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি। তাতে শিরোপা দখলের লড়াইয়ে অংশ নেয় কৈলাশহর পুর পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড ও ১৭ নং ওয়ার্ড। ফাইনাল ম্যাচে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৈলাশহর মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা দেবরায়,জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অরুন সাহা, জেলা ক্রীড়া আধিকারিক অমিত যাদব, টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি সন্দীপ দেব রায়, সম্পাদক সুমন্ত দেবরায় সহ পুরো পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা। এদিন ফাইনাল ম্যাচ শুরুর পূর্বে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন অতিথিরা। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে টানটান উত্তেজনা পূর্ণ এই খেলার প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। খেলার দ্বিতীয়ার্ধ অনুরূপ গোল শূন্য ভাবে শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তীতে পেনাল্টি শুট-আউট অর্থাৎ টাই ব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়। পেনাল্টি শুট আউটে কৈলাশহর পুরপরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ৪-৩ গোলে ১৭ নাম্বার ওয়ার্ড কে পরাজিত করে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খেলোয়াড় বদরুল আলী, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের খেলোয়াড় রুমন আলী। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। সম্মানিত করা হয় ম্যাচ রেফারিদেরকেও। কৈলাশহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় মাঠ কয়েক হাজার দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য।