জাতীয় সড়কের চুরাইবাড়ি থেকে বাগবাসা পর্যন্ত ভগ্ন দশায় পরিণত

আগরতলা, ৩১ আগস্ট: জাতীয় সড়কের চুরাইবাড়ি থেকে বাগবাসা পর্যন্ত ভগ্ন দশায় পরিণত হলেও হেলদোল নেই রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কিংবা তার দপ্তরের। পুরো সড়কের একশো মিটার জায়গা ও ভালো অবস্থায় নেই বললেই চলে।পুকুর সমান গর্তে পরিণত হয়ে রয়েছে উক্ত সড়কে। সংস্কার বা পুনরায় নতুন করে তৈরীর কোন উদ্যোগ নিছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

একদিকে পুকুর সমান গর্ত তো অন্যদিকে বৃষ্টির জলে টিলা মাটির ধ্বস নেমে কাঁদায় পরিণত হয়ে রয়েছে।ফলে নিত্যদিন ছোট-বড় যান দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যানচালক থেকে শুরু করে স্থানীয় পথচারীরাও।অভিযোগ অবৈজ্ঞানিক কাজের ফলে পাহাড়ের জল রাস্তায় নেমে এমন দুর্দশা দেখা দিয়েছে।কেননা জাতীয় সড়কের উল্লেখিত এলাকাতে রাস্তার দুপাশে নেই কোন ড্রেন, এক দুটি জায়গায় কালভার্ট থাকলেও সেগুলো মান্ধাতার আমল থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে ।ফলে একদিকে বৃষ্টির জল আর অন্যদিকে টিলার মাটি নেমে একাকার।

মরণফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি গেট থেকে শনিছড়া,বাগবাসা পর্যন্ত প্রায় ১১ কিমি রাস্তা।বহি:রাজ্যে রোগী নিয়ে যেতে হলেও চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরিজনদের।বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।কিছুদিন পর পর স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।অর্থাৎ নিট ফল শূন্য। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো চলতি মাসের প্রথম দিকেই শনিছড়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্থানীয় এক লরিচালক অকালেই প্রাণ হারায়।তার কিছুদিন পূর্বে এক মহিলাকে মাকুন্দা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে রাস্তায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে,এবং সেখানেই সন্তান প্রসব হয়।তাছাড়া প্রায় নিত্যদিনই অটো রিক্সা টুকটুক বাইসাইকেল  দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।এমনকি স্থানীয়রা পায়ে হেঁটে চলাচল পর্যন্ত দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।হাট বাজারে যেতে পারছেন না এলাকার মানুষ।তাই দাবি উঠছে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত কিংবা নতুন করে তৈরি করা হোক।অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগণসহ যান চালকরা।পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। তবে এখনি যদি রাস্তার সংস্কার ও নির্মাণ কার্যে হাত না লাগায় রাজ্য সরকার তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় সড়কটি বড় পুকুরে পরিণত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *