আগরতলা, ৩১ আগস্ট: অবশেষে চাপে পড়ে সাংবাদিক আক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করলো ধর্মনগর থানার পুলিশ। পাশাপাশি সাংবাদিক আক্রমণের অভিযোগে অভিযুক্ত বাকিদেরকেও খুব শীঘ্রই জালে তুলা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত বিগত ১৪ আগস্ট যুবরাজনগর ব্লক এলাকার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শাসকদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে যুবরাজনগর ব্লকের অস্থায়ী ভোট গণনা কেন্দ্রের সম্মুখে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করতে সেই জায়গায় উপস্থিত হোন। সে সময় কিছু দুষ্কৃতী সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।এদিকে সেদিন রাতেই আক্রান্ত সাংবাদিকরা ধর্মনগর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের গা ছাড়া ভূমিকা সাংবাদিক মহলে এবং অন্যান্য জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ।
সাংবাদিকরা পুনরায় ধর্মনগরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের সাথে দেখা করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন । সেখানেও পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক দেখা দেয় ।ঘটনার প্রায় ১১ দিন পর বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা একত্রিত ভাবে ধর্মনগরের পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর সাথে দেখা করেন। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে অপরাধীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারিও দেন সাংবাদিকরা। এরপরেই পুলিশ চাপের পরে মঙ্গলবার সকালে তিন অভিযুক্ত যথাক্রমে বিধুভূষণ মালাকার(পিতা উপেন্দ্র মালাকার),প্রেমজিত সিনহা(পাপ্পু,পিতা ব্রজেন সিনহা) এবং দেবজ্যোতি চক্রবর্তী(পিতা দেবিপ্রসন চক্রবর্তী) কে আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মনগর থানার ওসি।