নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ আগস্ট: প্রবল বর্ষণে আসাম আগরতলা ৮ নং জাতীয় সড়কের ৪৭ মাইল এবং বিকল্প সড়কের সাইকা এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্হি রাজ্যের সহিত সড়ক যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আগরতলা। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। চরম দুর্ভোগে সহ্য করছেন যানচালক থেকে শুরু করে যাত্রী সাধারণ।
ক্রমাগত ভারী বর্ষণের কারণে বিকল্প জাতীয় সড়কের সাইকায় ভূমিধ্বসের পর এবার ৮ নং জাতীয় সড়কের তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত ৪৭ মাইল এলাকায় ভয়াবহ ফাটলের কারণে সড়ক যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আগরতলা। সড়কের মাঝ বরাবর অংশে বিরাট ফাটল সৃষ্টি হয়ে ভূমিধসের ফলে দুটি অংশ পৃথক হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে প্রবল বর্ষণের পাশাপাশি ভূমিকম্পের কারণেও এত বড় ফাটল সৃষ্টি হতে পারে। ফাটলের কারণ অনুসন্ধানে লেগেছে সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা।
এছাড়াও ভারী বর্ষণে ২০৮ নং বিকল্প জাতীয় সড়কের সাইকা এলাকায় ভূমিধ্বসের কারণে সড়কের বিরাট অংশ ভেঙ্গে হয়ে যায় চৌচির। হারিয়ে যায় বিকল্প জাতীয় সড়কের স্মৃতিচিহ্ন। ফলে সড়ক যোগাযোগে বর্হি রাজ্যের পাশাপাশি ধলাই, উত্তর ও ঊনকোটি জেলার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী আগরতলা। আর সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকার ফলে দুইদিকে দেখা গেছে মালবাহী লড়ি ও হাল্কা যানবাহনের লম্বা লাইন ।
আসামের দিক থেকে আসা মালবাহী লড়িগুলোর লম্বা লাইন দেখা গেছে ৮ নং জাতীয় সড়কের আমবাসা এলাকায়। এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও উত্তর ও ঊনকোটি জেলায় দেখা দিতে পারে রান্নার গ্যাসের সংকট। সবমিলে গত চার দিনের ভারী বর্ষণে রাজ্যের দুটি জাতীয় সড়ক ভেঙ্গে চৌচির হওয়ায় দুর্ভোগ মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করতে চলছে রাজ্যে। প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায়।
৮ নং জাতীয় সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর দৌড়ঝাপ শুরু হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিদের। এবং আপাতত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রশাসন। বর্তমানে ৮ নং আসাম আগরতলা এবং বিকল্প জাতীয় সড়কটি সংস্কার করে কবে নাগাদ আবার যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে এনিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন যানচালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।