গুয়াহাটি, ১৫ আগস্ট (হি.স.) : খানাপাড়ায় তেরঙা পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে সহিংসতা-পীড়িত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুর্দশা এবং নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।সমগ্ৰ দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে আজ অসমেও উদযাপিত হয়েছে ৭৮-তম স্বাধীনতা দিবস৷ গুয়াহাটির খানাপাড়ায় পশু চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ময়দানে রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। পতাকা উত্তোলনের পর তিনি আসাম পুলিশ, আসাম পুলিশের প্রায় সব ব্যাটালিয়ন, গৃহরক্ষী বাহিনী, এনসিসি, স্কাউট অ্যান্ড গাইডদের অভিবাদন গ্রহণ করেছেন৷ স্বাধীনতা দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে বাংলাদেশে সংগঠিত সহিংতায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন সহ হিংসা-পীড়িত ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য গভীর সহানুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশে এক অশান্ত এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি সংখ্যালঘু সমাজ। সাম্প্ৰতিক পরিস্থিতির পরিপ্রোক্ষিতে ড. শর্মা বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা উদযাপন করি, তখন আমার চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্ৰতি পড়ে থাকে। চলমান সংকটের মধ্যে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি গভীরভাবে চিন্তিত। শুরুতে কেউ দেশ ভাগের ডাক দেয়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রতিটি ভারতীয় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।’মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের হিন্দুরাও ‘অখণ্ড ভারত’-এর স্বপ্নে সংগ্রাম করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তৎকালীন নেতৃত্ব দেশভাগের দাবি মেনে নেন। রাতারাতি ওই সব অঞ্চলের ভারতীয় হিন্দুরা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যালঘুতে রূপান্তরিত হয়ে যান। আমি নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের হিন্দুরা সুরক্ষিত হবেন।’বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং আসাম পুলিশের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা। তিনি চলমান অস্থিরতার মধ্যে কোনও অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক যাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বিএসএফ এবং আসাম পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টার ভূয়সী প্ৰশংসা করেছেন।ড. হিমন্তবিশ্ব বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা এবং বাংলাদেশ থেকে যে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা সুরক্ষার লক্ষ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এভং দুর্বল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করতে কেন আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও উদাত্ত ভাষণে ব্যাখ্যা করেছেন অসমের মুখ্যমন্রী ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা।