আগরতলা, ০৭ আগস্ট,২০২৪ ভারতীয় সংসৃকতির অন্যতম প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ আমাদের সমাজ জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিরাজমান৷ এজন্য আমরা বলি কবির মৃত্য নেই৷ কবির ঐতিহ্য নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব৷ আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত৷ আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানে মুখ্যমী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমী বলেন, আমাদের চিন্তা-চেতনায়, সমাজ জীবনে, দেশপ্রেমে সবকিছুতেই জড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ৷ কবির সাহিত্য, দর্শন, চিন্তাভাবনা সঙ্কটকালে আমাদের উত্তরণের পথ দেখিয়েছে৷ মুখ্যমী বলেন, সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রেই রবীন্দ্রনাথের পদচারণা ছিল৷ সর্বক্ষেত্রেই তিনি বিময়কর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন৷ সাহিত্য সৃস্টির পাশাপাশি তিনি একজন দেশপ্রেমীও ছিলেন৷ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় সংহতি রক্ষার জন্য তিনি রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন৷ পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজদের দেওয়া নাইট উপাধি ত্যাগ করেন৷ ভারত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই সৃষ্টি৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭বার ত্রিপুরায় এসেছিলেন৷ ত্রিপুরার পটভূমিতে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত রাজর্ষি, বিসর্জন, মুকুট ত্রিপুরাকে বিশ্ব পরিচিতি দিয়েছে৷ মুখ্যমী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা, সাহিত্য, সৃষ্টি, দেশপ্রেম, ভারতীয় সংসৃকতিবোধ আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী৷ তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেক গুণাবলীর সমাহার বিশ্বে বিরল৷ এমন বিশাল ব্যক্তিত্ব যার সঙ্গে কারোর তুলনা করা যায়না৷ আমাদের সবার জীবনেই প্রতিনিয়ত রবীন্দ্রনাথ বিরাজমান৷ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, সাহিত্য, দেশপ্রেম বিষয়ে আলোচনা করেন ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. পরমাশ্রী দাশগুপ্ত৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজ্যভিত্তিক সাংসৃকতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুুব্রত চক্রবর্তী৷ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা তপন দাস৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমী সহ অতিথিগণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান৷