নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ আগস্ট:
কিছুদিন পূর্বে অভয়নগর ব্রিজ সংলগ্ন অবৈধ অস্থায়ী জনজাতি বাজারটি পুর নিগম উচ্ছেদ করে দেয়। বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল যানবাহন চলাচল সহ জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এই অস্থায়ী বাজারটি। প্রত্যেকদিনই লেগে থাকত যানজট। কিন্তু এই বাজারটি উচ্ছেদের পরই দেখা দেয় বিতর্ক।
সে বিতর্ককে কেন্দ্র করে আজ অভয়নগর বাজারে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আজকের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর হীরালাল দেবনাথ বাজার ব্যবসায়ীরা সহ অন্যান্যরা।
মূলত ব্রিজ সংলগ্ন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের স্থায়ী ব্যবস্থা করা নিয়েই আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আজকের এই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, কোন বাজার বা রাস্তায় বেআইনিভাবে কাউকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাজারে না বসে রাস্তার পাশে ব্যবসা করার জন্য বসে যাওয়ার ঝুঁক সমস্ত শহরের জন্য একটি সমস্যার সৃষ্টি করছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, শহরকে সুন্দর করার ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হতে হচ্ছে।
প্রতিটি বাজারকে সুন্দর করে তৈরি করার জন্য স্মার্ট সিটি হোক রাজ্য সরকার হোক বা পুর নিগম চেষ্টা করে চলছে। আগরতলা শহরে রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসে যাওয়া একটি ট্রেন্ড হয়ে গেছে। রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসার ফলে বাজারে যারা ট্যাক্স দিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করছে তাদের ব্যবসাও ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তার পাশে বসে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্লাব ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে চলেছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের রাস্তার পাশে বসিয়ে দিচ্ছে কিছু কিছু ক্লাব। এ সকল কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।
রাজ্য সরকারের লক্ষ্য জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি না করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সুনিশ্চিত করা। অভয়নগর রাস্তার পাশে অস্থায়ীভাবে বসা উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের অভয়নগর বাজারে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মেয়র। পাশাপাশি অভয়নগর বাজারটিকেও সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যেই অভয়নগর বাজারের পাশে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য তিন কোটি টাকা রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছে। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা দুজনেই বক্তব্যে মেয়রের কাজকর্ম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দুজন মন্ত্রীই রাস্তার পাশে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করে বাজারকে একটিভ করার উপর জোর দেন।

