পানিসাগর, ২ আগস্ট: গোপন সূএের ভিওিতে পানিসাগর থানার পুলিশ আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পানিসাগর নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চালিয়ে আগরতলা থেকে গৌহাটিগামী এএস০১-এলসি-১৪১২ নম্বরের একটি বাস গাড়ি থেকে সন্দেহভাজন সাতজনকে আটক করে নিয়ে আসে পানিসাগর পুলিশের হেফাজতে।
পরবর্তীতে তাদের জোর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে এরা সকলেই পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বাসিন্দা। এরা বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশ থেকে আখাউড়া হয়ে এিপুরা রাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং গতকাল দূরপাল্লার বাস গাড়িতে করে গৌহাটি হয়ে ভারতবর্ষের মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
ধৃতদের মধ্যে দুই জন তৃতীয় লিঙ্গের। বাকি পাঁচ জন তৃতীয় লিঙ্গের বেশ ভূষা লাগিয়ে নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো।
এরা হলেন মাহি (১৭ )ওরফে বাহার হুসেইন,বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। সাদ্দাম, বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়, আবিদ হাসান(১৮), বাড়ি বাংলাদেশের ভোলা বরিশাল জেলায়। শুভ দাস(১৬) বাড়ি বাংলাদেশের সাবার জেলায়, মুন্নি দাস(১৮) ওরফে কালী,বাড়ি বাংলাদেশের নাটোর জেলায়। বিল্লাল হুসেইন(২২) বাড়ি বাংলাদেশের গাজিপুর জেলায় এবং মো: টগর হুসেইন(১৬) বাড়ি বাংলাদেশের জশোর জেলায়। ওদের প্রত্যেকেরই আরেকটি করে নাম রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আটককৃত সাত জনের মধ্যে তিন জন নবাগত। বাকি চারজন বিগত বেশ কয়েক বৎসর যাবৎ ভারতবর্ষের মুম্বাই সহ বিভিন্ন শহরে বসবাস করতো। এদের আসল উদ্দেশ্যই হলো তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা পয়সা রোজগার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা।