পাথারকান্দি (অসম), ২১ জুলাই (হি.স.) : পাথারকান্দির কমরুল হক সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের তিন শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র শুভ্রাংশু সিনহাকে মারধরের ঘটনায় আজ দ্বিতীয় দিনও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর গতকাল শনিবার অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের মধ্যে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা।
এ নিয়ে আজ রবিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবককুল। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ তাঁরা পাথারকান্দি তিনোখালে অসম-ত্রিপুরা ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাকি অভিযুক্ত শিক্ষকদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন। হঠাৎ করে জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে সড়কের দুপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।
এ খবর পেয়ে অবরোধস্থলে ছুটে যান সার্কল অফিসার তথা প্রশাসনিক আধিকারিক সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে খানিক বাকবিতণ্ডা হয় অবরোধকারীদের। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কোনওভাবেই অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।
পরিস্থিতি যাতে অন্য মোড় না নেয়, তার জন্য প্ৰশাসনের পক্ষ থেকে সশস্ত্র পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়। পরে অবরোধকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে বেলা আনুমানিক দুটো নাগাদ জাতীয় সড়ক অবরোধমুক্ত হয়।
এদিকে একইভাবে আজ সকালে ধৃত শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে মুক্তির দাবিতে একদল ছাত্র পাথারকান্দি থানা চত্বরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কিন্তু তাদের দাবি ধোপে টেঁকেনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পাথারকান্দি কমরুল হক সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের বাণিজ্য শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভ্রাংশু সিনহাকে তিন শিক্ষক মিলে বেধড়ক মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ। এতে পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করে। গুরুতর আহত ছাত্রটি বর্তমানে গুয়াহাটিতে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এ ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তা নজরে পড়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি) জিপি সিঙের। তাঁর নির্দেশে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার ময়দানে নামেন। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের মধ্যে জহিরুল ইসলাম নামের ইংরেজি বিষয় শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাঁকে জেরা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।