নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুলাই: দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ার রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের দক্ষিণ জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনের প্রার্থী বাদল শীল খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধের ডাক দেয় বামফ্রন্ট। বনধকে কেন্দ্র করে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে বনধের তেমন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। তবে কোনো কোনো স্থানে বনধে আংশিক সাড়া মিলেছে।
বামফ্রন্টের ডাকা ১২ ঘন্টার ত্রিপুরা বনধে রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকায় কোন ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বাজারহাট, দোকানপাট, যান চলাচল সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। বনধকে কেন্দ্র করে কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মিলেনি।
যদিও বাম ছাত্র যুবরা রাস্তায় নেমে যান চলাচলে বাধা দিলেও তারা ব্যর্থ হয়। রবিবার ছুটির দিন হিসেবে রাজধানীর জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। এদিকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রশাসনের তরফ থেকে শহর ও শহরতলীর সর্বত্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও বামফ্রন্টের ডাকা ১২ ঘন্টা ত্রিপুরা বনধে অন্যান্য জেলাতেও তেমন কোনো সাড়া লক্ষ্য করা যায়নি। কৈলাসহরে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছিল, দোকানপাট খোলা, বাজার হাট সবই খোলা ছিল। তবে বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টা রাজ্য বনধে আংশিক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে কুমারঘাট মহকুমায়। বিলোনিয়ায় সিপিআইএম কর্মী বাদল শীলের মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার গোটা রাজ্যেই ধর্মঘটের ডাক দেয় বিরোধী দল। ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মহকুমাতেও আংশিক প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটে। বন্ধের জেরে এদিন তেমনভাবে রাস্তায় বের হননি মানুষ। খোলেনি দোকানপাটও। অনেকে আবার দোকান খুলে বসলেও ক্রেতা নেই তেমন। কুমারঘাটের ব্যাবসায়ীরা জানালেন একে ছুটির দিন, তার উপর ধর্মঘট, সবমিলিয়ে ক্রেতা নেই বাজারে।
এদিকে সোনামুড়াতে এদিন এই বনধকে কেন্দ্র করে যান চলাচল ছিল প্রায় স্তব্ধ। যদিও ছুটির দিন হয় এমনিতেই রাস্তায় জনসংখ্যা কম ছিল। তবে সিপিএমের ডাকা বনধের প্রভাবে সোনামুড়ার দোকান বাজার প্রায় বন্ধ ছিল বললেই চলে। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বনধের সমর্থনে তেমন প্রচার সম্ভব না হলেও রবিবার বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে সোনামুড়ায়।
যদিও রাজ্য সরকার বনধের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা জারি করেছিল। জনজীবন স্বাভাবিক রাখারই বার্তা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে বলা চলে বাম নেতা মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে বনধের প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে বামফ্রন্ট। হাতেগোনা কয়েকটি জায়গা ছাড়া গোটা রাজ্যব্যাপী স্বাভাবিক ছিল জনজীবন।