নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ১০ জুলাই:
প্রতিদিনকার মতো বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করতে গিয়েছিল কলমচৌড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রঞ্জিত দাস, পিতা নাম নিতাই দাস। দক্ষিণ কলমচৌড়া মধ্যপাড়া তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল সে।
কিন্তু খেলার ছলনায় তারই সঙ্গে তার সহপাঠ ৪-৫ জনের মধ্যে যে কেউ মাটির টুকরো দিয়ে তার মাথায় ঢিল দেয়। উক্ত ঘটনায় তার মাথায় আঘাত লাগে। ৮ জুলাই এই ঘটনাটি ঘটে।
যথারীতি স্কুল সেরে বাড়িতে ফিরে আসে এবং মাকে স্কুলের ঘটনাটি জানায়। বাবা নিতাই দাস মাঠ থেকে কাজকর্ম সেরে বাড়িতে আসার পর তার কাহিনী তার মা বলেন, শুনে সঙ্গে সঙ্গে কলমচৌড়া ফার্মেসি থেকে মাথা ব্যথার ঔষধ নিয়ে আসেন। ছেলে রঞ্জিত কে ঔষধ খাইয়ে এবং রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন তার মা। কিন্তু ওষুধ বিক্রেতা ফার্মাসিস্ট বলেছেন যেহেতু মাথার ব্যাপার সেটির সিটিস্ক্যান করিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত প্রয়োজন। তা না হলে যে কোন সময় সমস্যা হতে পারে। তারপর সবকিছু ঠিকই চলছিল।
কিন্তু আজ ভোরবেলা ছেলে রঞ্জিত দাসকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকতে থাকে তার মা বাবা। কিন্তু সে কোন সাড়াশব্দ করে না। পরবর্তী সময়ে তার মা লক্ষ্য করেন রঞ্জিত অসার অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। তাকে উদ্ধার করে বক্সনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রঞ্জিতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।