কলকাতা, ৯ জুলাই (হি. স.): অগ্নিমূল্য বাজারদর। সবজি, মাছ–মাংস কোনও কিছুতেই হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ আমজনতার। পেট চালাতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের।মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আকাশছোঁয়া সবজির দাম নিয়ে পুলিশকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমাতে হবে। দাম কতটা কমল তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁর কাছে। মমতা এদিন বলেন, পুলিশকে বলছি, বাজারগুলো আবার গিয়ে গিয়ে দেখুন। বেশি মুনাফার লোভে কিছু কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করছে। এটা বড় চক্র কাজ করে। চোখে দেখা যায় না। বড় ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজে আটকে রাখে। ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু কোল্ড স্টোরেজে পড়ে আছে। অল্প অল্প বাজারে ছাড়ুন। তিনি এও বলেন, মুনাফা করার লিমিট নেই। সবজির গাড়ির পুলিশ আটকায় না। বাজারে সিআইডি, পুলিশ, আইবি নজরদারি করুক। এর জন্য টাকা নেবেন না। আমি যদি কারোর কাছে শুনতে পাই এর জন্য তোলাবাজি নেওয়া হয়েছে তাহলে অ্যাকশন নেব। তিনি বলেন, আলু চাষিরা কেজি প্রতি ১৫টাকার বেশি দাম পায় না। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। চাষিদের থেকে কিনলে দাম কমে যাবে। সুফল বাংলায় ৮ টাকা কমে পিঁয়াজ মিলছে। পিঁয়াজ স্টোরের জন্য ৪ হাজার পিঁয়াজ গোলা তৈরি করেছি। সেখান থেকে নিচ্ছি। বাজারে পিঁয়াজের দাম কমাতে হবে। সুফল বাংলায় আমরা কম দামে দিচ্ছি বাজারের তুলনায়। দশ থেকে পনেরো শতাংশ কমে পাওয়া যাবে। তিনি এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, দেশজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে। এটা রাজ্যের বিষয় নয়, কেন্দ্রের। যার জন্য সকলে সাফার করছি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেষ দশদিনে দাম বেড়েছে। যার জেরে টান পড়েছে মানুষের হেঁসেলে।
2024-07-09

