প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বইয়ের ‘লাইফ লাইন’, ট্রেন পরিষেবা ব্যাপক প্রভাবিত

মুম্বই, ৮ জুলাই (হি.স.) : মুম্বইয়ে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে দুর্ভোগ চূড়ান্ত। বন্ধ স্কুল, কলেজ। রবিবার গভীর রাত ১টা থেকে সোমবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত রেকর্ড ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একাধিক নীচু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে মুম্বই ডিভিশনের একাধিক ট্রেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১২১১০ এমএমআর-সিএসএমটি, ১১০১০ পুনে-সিএসএমটি, ১২১২৪ পুনে-সিএসএমটি ডেকান, ১২১২৭ সিএসএমটি- পুনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। বিএমসি কমিশনার ভূষণ গাগরানি দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রবল বৃষ্টিতে মুম্বইয়ের রাস্তায় জল জমে থাকায় ঘুরপথে চলছে একাধিক রুটের বাস। থানে, নাগপুর, আন্ধেরি, কোলাপুরের মতো একাধিক জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বইয়ের ‘লাইফ লাইন’। রবিবার সকাল থেকেই থানে জেলার কাসারা-তিতওয়ালা স্টেশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টির কারণে আটগাঁও-তানসিট স্টেশনের মধ্যে রেললাইনের উপর কাদা জমে যায়। পাশাপাশি ভিসিন্দ স্টেশনের কাছে গাছ পড়ে মুম্বইগামী পাঞ্জাব মেলের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। তার জেরে কল্যাণ-কাসারা রুটে সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল। দুপুরের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সেন্ট্রাল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার রাম করণ যাদব বলেছেন, “রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং ট্রেনগুলি চালু রাখার চেষ্টা করছি। ভারী বৃষ্টির কারণে, বিশেষ করে মূল লাইনে, কুর্লা ভান্ডুপের চারপাশে জল জমে রয়েছে এবং এখানে হারবার লাইনে, ওয়াদালা থেকে মানখুর্দ পর্যন্ত, এটি বন্ধ রয়েছে কারণ চুনাভাট্টির চারপাশে প্রচুর জল জমে রয়েছে… আমরা কিছু ট্রেন বাতিল করেছি এবং কিছু ট্রেন ডাইভার্ট করা হয়েছে… আমি জনগণকে অনুরোধ করছি যেন প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের না হয়।” মুম্বই এয়ারপোর্টেও বিঘ্নিত হয়েছে পরিষেবা। মুম্বইগামী ২৭ টি বিমানকে অবতরণের জন্য ঘুরিয়ে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ, ইন্দোর ও হায়দরাবাদ এয়ারপোর্টের দিকে।