তারকেশ্বর, ৫ জুলাই (হি.স.) : হাথরসে ধর্মীয় সভার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়তি নজরদারি তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলায়।
তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলাতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। এরইমধ্যে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে তারকেশ্বর পৌরসভা ও ব্লক প্রশাসন। এদিন তারকেশ্বর পৌরসভার সভাগৃহে বৈঠকে বসেন তারকেশ্বর পৌরসভা, ব্লক প্রশাসন ও রেলের কর্তারা। সেখানেই নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত। এদিনের বৈঠকে তারকেশ্বর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর ব্লকের আধিকারিক সীমা চন্দ্র, তারকেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ তন্ময় বাগ। এছাড়াও রেল, স্বাস্থ্য দফতর, ফায়ার ব্রিগেড, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক থেকে তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের কর্তারাও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শ্রাবণী মেলা মূলত শুরু হয় গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে। শেষ হয় রাখি পূর্ণিমায়। এবার শুরু হচ্ছে ২১ জুলাই রবিবার থেকে। শেষ হচ্ছে ১৯ আগস্ট। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে প্রতি বছরই শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত রাস্তায় লাখো লাখো মানুষের ঢল নামে। রাজ্য তো বটেই, রাজ্যের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে। পা ফেলার জায়গা থাকে না শ্রীরামপুর-তারকেশ্বর ১২ নম্বর রুটে। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের শনি রবি ও সোমবার তিল ধরানোর জায়গা থেকে না তারকেশ্বর শহরজুড়ে। শ্রাবণ মাসের প্রতি শনি রবি ও সোমবার এই তিন দিনে দশ লক্ষের উপর পূর্ণ্যার্থীর ভিড় জমে তারকেশ্বরে। সে কাথা মাথায় রেখেই একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তারকেশ্বর পৌরসভা ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি মন্দিরে প্রবেশ পথের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যবারের থেকে বেশি পুলিশও মোতায়েন থাকবে বলে খবর। স্বাস্থ্য শিবির কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ছে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যাও। গোটা তারকেশ্বর শহরই ঢাকা পড়বে সিসিটিভি–তে। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার জল, আলো সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানাচ্ছেন পৌর প্রধান উত্তম কুণ্ডু। মন্দির কর্তৃপক্ষকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর প্রধান।