আগরতলা, ২৪ জুন: শাশুড়ির অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে সাত বছরের শিশু কন্যাকে ফিরে পেতে দাবী জানালেন এক অসহায় বাবা
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত ১০ বছর আগে মোহনপুর থানার অন্তর্গত মনিপুরী চৌমুনী এলাকার বুলন দাসের মেয়ে শিল্পী দাস কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল আমতলী থানার অন্তর্গত মধুবন রামকৃষ্ণপুর গোবিন্দ কলোনি এলাকার সূর্য মোহন মালাকারের ছেলে অসীম মালাকার। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মাবার পর গৃহবধূর শিল্পী দাস পরপুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ। শিল্পী দাসের কর্মকাণ্ড নজরে আসার পর স্বামী শ্বশুর বাড়ির লোকজন অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই রাস্তা থেকে কোনভাবেই ফিরে আসছিল না শিল্পী দাস।
পরে একটা সময় শিল্পী দাস তাদের কন্যা সন্তানকে নিয়ে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ পর পুরুষের সাথে বিশ্রামগঞ্জ এলাকায় পুলিশের হাতে ধরাও পরে ছিল শিল্পী দাস। এই ঘটনার পর অসীম মালাকার তার ছোট্ট কন্যা সন্তানকে বাড়িতে নিয়ে আসে পরে পুলিশ নিয়ে এসে গৃহবধূ শিল্পী দাস তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং সেখান থেকে অন্য এক ছেলের সাথে সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে ব্যাঙ্গালোরে চলে যায়। এদিকে ছোট্ট কন্যা সন্তানটি অসীম মালাকারের শশুর বাড়িতে তার শাশুড়ি সোমা দাসের কাছে রয়েছে।
স্বামী অসীম মালাকারের অভিযোগ, তার এই ছোট্ট কন্যা সন্তানকে দিয়ে তার শাশুড়ি সোমা দাস বাড়ি ঘরের এবং দোকানের সমস্ত ধরনের কাজকর্ম করাচ্ছে এমনকি ছোট্ট কন্যা সন্তানটির উপর শাশুড়ি সোমা দাস শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে চলেছে।
অসীম মালাকার আরো অভিযোগ করেছেন, তার শাশুড়ির সোমা দাসের একটি টিফিন এবং মদের দোকান রয়েছে সেই দোকানে তার শিশু কন্যাকে দিয়ে সমস্ত ধরনের কাজকর্ম করিয়ে শিশুটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যার ফলে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অসীম মালাকার সন্তানকে ফিরে পেতে আর্জি জানিয়েছেন।