ভাঙড়, ১৯ জুন (হি. স.) : আবারও বোমা উদ্ধার হল ভাঙড়ে। ভাঙড় থানার অন্তর্গত রানীগাছি এলাকার এক আইএসএফ নেতার খড়ের গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটা তাজা বোমা। বুধবার বিকেলে সেই বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পাশাপাশি খালি হাতে পুলিশকর্মীরা বোমা উদ্ধার করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যে একাধিকবার বোমা উদ্ধার বা নিষ্ক্রিয় করার সময় দুর্ঘটনা ঘটলেও কলকাতা পুলিশ কবে শিক্ষা নেবে এদিন সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভাঙড়বাসী। বুধবার দুপুরে পুলিশ খবর পায় রানীগাছিতে এক আইএসএফ নেতার বাড়ির পাশে খড়ের গুদামের মধ্যে কয়েকটি তাজা বোমা পড়ে আছে। আর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকর্মীরা সেই বোমাগুলি খালি হাতে উদ্ধার করনে। খালি হাতেই বালতিতে তোলেন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। আরেকজন বালতি ভর্তি বোমা নিয়ে দৌড়ে গিয়ে তা তুললেন পুলিশ গাড়িতে। চারপাশে তখন অসংখ্য গ্রামবাসীর ভিড়। দুর্ঘটনাবশত যদি একটা বোমা ফাটত তাহলে কি অবস্থা হত ওই এলাকায়? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সকলে।
অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি রানীগাছি গ্রামের বাসিন্দা তথা আইএসএফের বুথ সভাপতি সিরাজুল খাঁর বাড়ি লাগোয়া খড়ের গোডাউন থেকে ওই বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য সিরাজুল বোমা বজুত করেছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল খাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি তৃণমূল কর্মীরাই তাঁদের গোডাউনে বোমা রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মিঠুন ও লাল্টু নামে দুই তৃণমূল কর্মী বস্তা নিয়ে গোডাউনে ঢুকেছিল। ওরা বস্তা করে বোমা নিয়ে এসেছিল বলে দাবি তাঁদের। তারা চলে যেতেই কয়েকমিনিট পর পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে। তবে কে বা কারা বোমা রেখেছিল সে বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।