BRAKING NEWS

গ্রামীণ ব্যাংকের পরিষেবায় ক্ষোভ গ্রাহকদের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ১৬ জুন: গ্রামীণ ব্যাংক ত্রিপুরা অন্যতম ব্যাংক হিসেবে রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত। রাজ্যের প্রতিটি কোনায় কোনায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। অথচ পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানা অভিযোগ করতে শুরু করেছে। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী উঠেছে। গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের দশদা শাখায় প্রতিদিন গ্ৰাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দুর্গম এলাকা থেকে এসে গ্ৰাহকদের ব্যাঙ্ক পরিষেবার বদলে নানা অজুহাতে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বিরুদ্ধে।

দশদা গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের কর্মীদের নানা তালবাহানায় কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা এলাকায় গ্ৰাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। উল্লেখ্য কাঞ্চনপুর মহকুমার দশদা এলাকার নাগরিকদের ব্যাঙ্ক পরিষেবার ক্ষেত্রে এক মাত্র গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের শাখার উপর নির্ভর করতে হয়। যার ফলে দশদা ব্লকের যাবতীয় ব্যাঙ্ক পরিষেবার ও সরকারি বেসরকারি ব্যাঙ্ক পরিষেবার ক্ষেত্রে এই  গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের শাখার দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্কের মধ্যে বর্তমানে  যেসকল কর্মচারী রয়েছেন তারা এলাকার সাধারণ নাগরিকদের পরিষেবা প্রদানে নানা ভাবে হয়রানির করছেন।

গ্ৰাহকদের অভিযোগ ব্যাঙ্কের কোন জরুরি প্রয়োজনে অর্থ আদান প্রদান করতে গেলে কিছু দিন পর পর তাদের কাছে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয় । আবার কেওয়াইসি জমা দিতে গেলে কখনো নেটওয়ার্ক নেই , কখনো ব্র্যাঞ্চ সঞ্চালক নেই  আবার কখনো কর্মী অভাবে দেখিয়ে দিনের পর দিন গ্ৰাহকদের হয়রানি করা হয়। গ্ৰাহকদের অভিযোগ ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের মধ্যে এক দল অসাধুতা চক্র গজিয়ে উঠেছে। এই অসাধু চক্রটি গ্ৰাহকদের কেওয়াইসি জমা করার বদলে পাঁচশত টাকা দাবি করছে।

আর যারা দাবি মতো টাকা দিচ্ছে তাদের কেওয়াইসি জমা করে সংশ্লিষ্ট গ্ৰাহকের একাউন্ট সচল করা হয়। আর দাবি মতো টাকা না দিলে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।গ্ৰাহকদের আরো অভিযোগ বর্তমান ব্র্যাঞ্চ সঞ্চালক আসার পর থেকে এধরনের অরাজকতার তৈরি হয়েছে।

এছাড়া একাউন্ট আপডেট করা কিংবা সরকারি স্কিমের লোন ও বেসরকারি ভাবে লোন নিতে গেলেও ব্যাঙ্ক কর্মীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন গ্ৰাহকরা। দীর্ঘদিন যাবত এভাবে চলতে থাকায় গ্ৰাহকদের মনে ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু হয়েছে। কেননা দশদা এলাকায় গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের পরিষেবা ছাড়া বিকল্প ব্যাঙ্ক নেই। এইচডিএফসির একটি শাখা যাত্রা শুরু করলেও অজ্ঞাত কারণে পরিষেবা চালু করা হচ্ছে না।

ফলে দশদা এলাকায় সাতনাল থেকে শুরু করে গোচিরাম পাড়া ,শাখানশেরমু, তৈচামাসহ দশদা ব্লকের সিংহভাগ অঞ্চল কেবল একটি মাত্র ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল । কিন্তু পাঁচ দশকের পুরানো গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের এই শাখাটি বর্তমান সময়ে গ্ৰাহকের চাহিদা পূরণ ব্যার্থ হয়ে পড়ছে। তাই এলাকাবাসী পক্ষ থেকে নতুন ব্যাঙ্কের শাখা স্থাপনের দাবি ওঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *