আগরতলা, ১৫ জুন : পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের সাধারণ মানুষের প্রাণ উষ্ঠাগত। অথচ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। ফলে, শাসক দল তৃনমূল আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা বিরোধী দলের কর্মী ও ভোটারদের উপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপি রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে চার সদস্যক কমিটি গঠন করেছেন।
বিজেপি রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মুখ্যালয় প্রভারী অরুণ সিং আজ প্রেস বিবৃতিতে বলেন, দেশে ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে সবেমাত্র লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এরই পাশাপাশি ৪টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে, দুইটি রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে বলে দেশবাসী লক্ষ্য করেছেন। সর্বত্রই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও, পশ্চিমবঙ্গে তার ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতির সাক্ষী রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনী পরিস্থিতির পুনারাবৃত্তি এই সাধারণ নির্বাচনেও মানুষ দেখতে পেয়েছেন।
অরুণ সিং কটাক্ষ করে বলেন, এহেন অস্থির পরিস্থিতি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।ফলে, শাসক দল তৃনমূল আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা বিরোধী দলের কর্মী ও ভোটারদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। এমনকি, কলকাতা হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সময়সীমা ২১ জুন পর্যন্ত বেড়েছে এবং উচ্চ আদালতে পরিবর্তী শুনানি আগামী ১৮ জুন ধার্য হয়েছে।
অরুণ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে উদ্ভূত এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বিজেপি রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে চার সদস্যক কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটিতে বাকি সদস্যরা হলেন, সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, সাংসদ ব্রিজলাল এবং সাংসদ কবিতা পাতিদার।

