নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২৮মে:
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ধলাই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষণে ধলাই নদীসহ এলাকার সবকটি ছড়া ও খালের জল বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু ঘরবাড়ি জলাপ্লাবিত হয়েছে। বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষ ঘর ছাড়া। বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের তরফে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেমালের জেরে লাগাতর দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির দরুন ছড়া ও ধলাই নদীর জল বেড়ে কমলপুরের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। বহু বাড়ি ঘর জলের তলায়। মহকুমা প্রশাসন থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাড়ি ঘরের মানুষজনকে নিরাপদে স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে ছড়া গুলি ও ধলাই নদীর জল বাড়ছে।
মহকুমা শাসক লাল রিং নেতা ডারলং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা কর্মীদের নিয়ে দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলি ঘুরে দেখছেন। মহকুমা শাসক অফিসের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দেবাশিস রায় জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য কর্মীদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কমলপুর সেক্টর, দুর্গা চৌমুহনী সেক্টর ও সালেমা সেক্টর। প্রতিটি সেক্টরে ১৬/১৭ জন করে দুর্যোগ মোকাবিলার কর্মী রয়েছে। তাদের তদারকি করছেন মহকুমা শাসক লাল রিং নেতা ডারলং ও ডিসিএম ধনঞ্জয় রিয়াং।
সোমবার রাত থেকে বালিগাঁও পঞ্চায়েতের গঙ্গানগর, মোহনপুর, টিলাগাঁও সহ বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি ঘরে বৃষ্টির জল জমে, ছড়া ও ধলাই নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি ঘরে জল ঢুকেছে মানুষজন ও গবাদিপশু বের হতে পারছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেউ কেউ অভিযোগ করেন। কোথাও কোথাও ঝড়বৃষ্টির ফলে রাস্তার মধ্যে গাছ ভেঙ্গে পড়ে। বহু গ্রামে বিদ্যুত নেই।