BRAKING NEWS

সাংবাদিক সম্মেলন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার ছড়ানোর যোগ্য জবাব দিলেন আনন্দ মার্গ কতৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, প্রতিনিধি, ২৪ মে।। বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুল দীর্ঘ বহু বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করে আসছিল। এমন কি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল এই স্কুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে আনন্দ মার্গ স্কুলকে সিবিএসই বোর্ডের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের আধ্যাত্মিকতা শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এই স্কুল বিশালগড়ের বনেদী স্কুল গুলোর মধ্যে অন্যতম স্থান অর্জন করেছে।দিন দিন এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এবং বর্তমানে দ্বাদশ মানে উন্নীত করার জন্য কাজ চলছে।এই আনন্দমার্গ স্কুলের গরিমা কে কালিমালিপ্ত করতে স্কুল এবং স্কুলের চেয়ারম্যানকে নিয়ে নানা কুৎসা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু লোক।আর এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কুৎসার জবাব দিলেন স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্যরা। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রাণগোপাল আচার্য, পরিচালন কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাস, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিপ্লব দাস প্রমুখ। প্রিন্সিপাল প্রাণগোপাল আচার্য বলেন সুস্থ মানব সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করছে আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ। রাজ্যে ৭৩ টি বিদ্যালয় রয়েছে আনন্দ মার্গ পরিচালিত। সিবিএসই এবং টিবিএসই উভয় বোর্ডেই দারুণ ফলাফল করছে আনন্দ মার্গের ছাত্র ছাত্রীরা। তেমনি গত চল্লিশ বছর ধরে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুল চলছে।

বর্তমানে দ্বাদশ মানে উন্নীত করার কাজ শুরু হতেই স্কুলের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এমনকি স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথকে ব্যাক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন সামাজিক এবং সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রিন্সিপাল প্রাণ গোপাল আচার্য বলেন এই স্কুল কোন ব্যাক্তির নয়। এটা আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের স্কুল। স্কুল পরিচালনার জন্য কমিটি রয়েছে।  চেয়ারম্যান কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিচালনা করেন। এর আগে অনেকে চেয়ারম্যান ছিলেন।

বর্তমানে চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। পাকাবাড়ি, টয়লেট, বাউন্ডারি, পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ নিজের সম্পদ মরগেজ রেখে ঝণ নিয়ে স্কুলের উন্নয়ন সাধন করেছেন। কিন্তু এই ননীগোপাল দেবনাথের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাস বলেন স্কুল তদারকি করেন আনন্দ মার্গ সন্ন্যাসীরা। বছরে দুই বার অডিট হয়। কাজেই অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ ভিত্তিহীন। না জেনেই স্কুলের আভ্যন্তরিন বিষয় নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এছাড়া প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দাসকে স্কুল থেকে তাড়ানোর অভিযোগ খারিজ করেন খোদ রবীন্দ্র দাস নিজে। 

উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিপ্লব দাস বলেন সঙ্গীত শিক্ষক বিপ্লব সাহা স্কুলটি টিবিএসই পরিচালিত থাকাকালীন শিক্ষকতা করতেন। সিবিএসই তে রূপান্তরিত হওয়ার পর গাইডলাইন মোতাবেক বিপ্লব সাহাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। স্কুল পরিচালন কমিটি আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করছে। এখানে ব্যক্তি ননীগোপাল দেবনাথ কে জড়িয়ে মিথ্যাচার কাম্য নয়। এ-সব অপপ্রচার ষড়যন্ত্র করে স্কুলের অগ্রগতি রুখতে পারবেনা। তাই অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান কর্তৃপক্ষ।

তাছাড়া বর্তমানে শুধু বিশালগড় নয়  পুরো সিপাহীজলা জেলার বনেদী স্কুল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই আনন্দ মার্গ স্কুল। তাই এই স্কুল ও স্কুলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো বন্ধ না করলে আগামী দিনে আনন্দমার্গ কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *