নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২মে: যাত্রাপুর থানা পুলিশের সড়ক সুরক্ষা অভিযানে ব্যাপক সফলতা এসেছে সাম্প্রতিক বিগত ২৪ ঘন্টায়। যা বিগত দিনে যাত্রাপুর থানা এলাকার সংশ্লিষ্ট জনগণ প্রত্যক্ষ করেনি। যদিও থানা কর্তৃপক্ষ সড়ক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০মে থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কপথে মাইকিং করা হয়েছিল সচেতনতার লক্ষে। কিন্তু মাইকিং করার পরও যাত্রাপুর আরক্ষা প্রশাসন পর্যবেক্ষণ করলো যে, মাইকিং এর গুরুত্ব বাইক চালকের একটা অংশের কাছে গুরুত্বহীন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে, থানা প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ওসি সুব্রত দেবনাথ নিজেই অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল সহ এবং টিএসআর জওয়ান সবমিলিয়ে বিশাল বাহিনী গাড়ি নিয়ে ছুটে বিভিন্ন জনবহুল বাণিজ্যিক এলাকায় সড়ক পথ ধরে।
এতে ২১ মে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ২৫ টি বাইক হেলমেট বিহীন আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এবং বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়া দুইটি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়। যাত্রাপুর থানার ওসি সুব্রত দেবনাথ জানান এগুলি পরে ফাইন করে ছাড়া হবে।
ঠিক অনুরূপভাবে ২২ মে সকাল দশটা থেকে শুরু করে অভিযান। কাঠালিয়া বাণিজ্যিক এলাকার চৌমূহনীতে এক ঘন্টা অভিযান চালিয়ে চারটি হেলমেট বিহীন বাইক বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ছুটে যায় বাশপুকুর বাণিজ্যিক এলাকায়।
ওখানে যাওয়ার পথে বাইপাস সড়ক পথে এবং বাইপাস পুকুর এলাকাতে বেশ কিছু হেলমেট বিহীন বাইক বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে।
যাত্রাপুর থানার ওসির নেতৃত্বে এই অভিযান চলে দুদিন। উনার সাথে অন্যান্য অফিসারদের মধ্যে ছিলেন, পুলিশ ইন্সপেক্টর শ্যাম সুন্দর রিয়াং, সাব ইন্সপেক্টর প্রীতম দত্ত, সাব ইন্সপেক্টর শুভঙ্কর সাহা সহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল ও টি এস আর জোয়ান।
গত দুদিনের হেলমেট বিহীন বাইক অভিযান চালাতে গিয়ে ওসি অত্যন্ত উগ্র মনোভাব নিয়ে অভিযান চালিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে যথেষ্ট সফলতা এসেছে পুলিশের দাবি। এই জাতীয় অভিযানে এলাকার সংশ্লিষ্ট শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা যথেষ্ট খুশি শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আরো খুশি।