নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২১মে:
সামাজিক ভাতা প্রদানে স্বজন পোষণে অভিযুক্ত কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন সুব্রত দেবের পদত্যাগ দাবি করলেন কুর্তি কদমতলা কেন্দ্রের বিধায়ক ইসলামউদ্দিন। সিপিএম দলের পক্ষ থেকে কদমতলা বাজার এলাকায় বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে এক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হয়। বিক্ষোভ আন্দোলন এবং মিছিল সংগঠিত করে বিধায়কের নেতৃত্বে সিপিএম দলের একটি প্রতিনিধি দল কদমতলা ব্লক আধিকারী অনিমেষ দেববর্মার সাথে মিলিত হন।
দাবী সনদ পেশ করে বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন ব্লক আধিকারিক এর কাছে জানতে চান কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন সুব্রত দেবের পরিবারে একই সাথে কিভাবে পাঁচজনের নামে সামাজিক ভাতা মঞ্জুর করা হলো।
বিধায়ক বলেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ার পারসন ১২ হাজার করে ভাতা পাচ্ছেন। তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব করা হলো। একসময়ে সুব্রত বাবুর নামে এলাকায় একটি মদের কাউন্টার ছিল। ছোট ভাই সত্যব্রত দেব এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। অবস্থাপূর্ণ পরিবার হওয়া সত্ত্বেও এলাকার পাঁচজন দু:স্থ গরীব মানুষকে তালিকা থেকে ছাটাই করে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রতদেব নিজে স্ত্রী, ছোট ভাই, ভগ্নী এবং ভগ্নিপতির নামে সামাজিক ভাতা মঞ্জুর করে নিয়েছেন।
বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন এই অনিয়ম এবং স্বজন পোষণের কারণে কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসনের পদ থেকে সুব্রতদেবকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। সুব্রতবাবু এই কেলেঙ্কারি করতে গিয়ে বৈধ তালিকায় সঞ্জয় দাস, পিতা সর দাস, প্রভাবতী নাথ, স্বামী নন্দলাল নাথ, ইসলাম উদ্দিন পিতা খালেক মিয়া, বদরুল হক, পিতা রবিউল রহমান, তাপস ভট্টাচার্য, পিতা সুব্রত ভট্টাচার্য এই পাঁচ জনের নাম ছাটাই করে দেন।
এদেরকে বাদ দিয়ে সুব্রত বাবু নিজের স্ত্রী শিলা রানী দেব, ঠিকাদার ছোট ভাই সত্যব্রত দেব, ছোট বোন রঞ্জিতা এবং জামাতা অনুপ কুমার সেনের নামে ভাতা মঞ্জুর করে এনেছেন বলে অভিযোগ।
অবিলম্বে এই স্বজন পোষন বন্ধ করার দাবি উঠেছে এলাকা জুড়ে।

