নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে: পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করে ফেলে বর্বর ভাসুর, এমনি অভিযোগ। পৃথিবীর আলো দেখার পূর্বে সারা জীবনের জন্য জীবন দ্বীপ নিভে গেল নবজাতক শিশুটির।
কৈলাসহর বাগছড়া গ্রামের আনসার আলী আগরতলা জিরানিয়া এলাকার বাসিন্দা সোমা বেগমকে ভালোবেসে বিবাহ করেছিল। প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। তারপর বিবাহ হয়। কিন্তু তাদের বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। সোমা বেগমের উপর গার্হস্থ্য নির্যাতন শুরু হয়। গত দুমাস পূর্বে সোমা বেগম অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কৈলাসহর ছেড়ে আগরতলায় চলে যায়। এর মধ্যে গর্ভস্থ সন্তানের বয়স পাঁচমাসে এসে দাঁড়ায়। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোমা বেগমের সমস্ত কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট কৈলাসহর শ্বশুরবাড়িতে রয়ে যায়। সার্টিফিকেটগুলির প্রয়োজন হওয়ার কারণে সোমা বেগম তার গর্ভধারিণী মাকে নিয়ে কৈলাসহর শ্বশুর বাড়িতে আসে। সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
পরিবারের লোকজনদের সাথে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে সোমার ভাসুর আসফাক আলী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সোমা বেগমের উপর রাক্ষস মূর্তি ধারণ করে। ধৈর্য হারিয়ে সোমা বেগমকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে সে। তখনই তলপেটে লাথি পড়ার কারণে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।মাথা ফেটে যায়। যার ফলে মাথার মধ্যে সাতটি সেলাই লাগে সোমার। ভাসুরের আক্রমণে গুরুতর আহত সোমা বেগমকে উনকোটি জেলা হাসপাতাল থেকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের একটি টিম সোমা বেগমের পেট থেকে মৃত পুত্র সন্তানকে বের করে আনে। বর্তমানে সোনাবেগম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
অমানবিক এই ঘটনায় অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন সোমার বাপের বাড়ির সদস্যরা।