উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ মে (হি. স.) : এক মহিলার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার বাগদার কুলানন্দপুর দক্ষিণপাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে, এই ব্যাপারে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
রাতে বাড়িতে ঢুকে বিধবা গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাগদা এলাকায়। অভিযুক্ত মহিলার ‘প্রেমিক’। পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়াই নাকি কাল হয়ে উঠেছে!
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূ নাম সীমা দাস (৪৫)। ১৩ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় অনিল দাসের সঙ্গে। তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলের জন্মের ১৮ দিনের মাথায় স্বামীর মৃত্যু হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। মাঠে কাজ করে যেটুকু রোজগার করতেন তা দিয়েই চলত সংসার। সেই রোজগারেই তিন মেয়ের বিয়েও দিয়েছিলেন সীমাদেবী। ছেলেও এখন অনেকটা বড়।
এর মাঝেই সীমাদেবীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্থানীয় যুবক আবুশান মণ্ডল ওরফে ক্যাবলার সঙ্গে। দু-তিন বছর সম্পর্ক থাকলেও প্রায় একবছরের বেশি সময় দুজনের যোগাযোগ ছিল না বলেই জানাচ্ছে পরিবার। শুক্রবার রাতে বাজার থেকে ফেরার সময় সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় সীমাদেবীকে। তিনি রাজি না হলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, দাবি পরিবারের। সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েন সীমা।
সকালে ডেকে দেওয়ার জন্য মেয়েকে বলেছিলেম মা। সেইমতো ভোরে ডাকতে গিয়ে মেয়ে দেখে মায়ের মুখে বালিশ চাপা সারা শরীর শক্ত হয়ে রয়েছে। মেয়ের চিৎকারে ছুটে আসে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।অভিযোগ, ক্যাবলাই বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে সীমাকে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়াই খুন হতে হল সীমাকে, মনে করছে পরিবার।