করিমগঞ্জ (অসম), ১৭ মে (হি.স.) : সিইউইটি পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করতে সরব হয়েছেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। গত বুধবার বদরপুরে সৃষ্ট জ্যামে আটকে থাকায় পরীক্ষায় বসতে পারেননি বহু প্রার্থী। তাই আগামীতে যাতে এ ধরনের কোনও অব্যবস্থার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য আজ শুক্রবার করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন বিধায়ক। আলাদাভাবে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করে সমস্যার সমাধান করার জন্য তিনি পুলিশ সুপারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
তবে আলাদা করে যানজট রোধে অতিরিক্ত বাহিনী সহ প্রতি পরীক্ষার দিন ভোর থেকেই ব্যাটালিয়ন জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে বলে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস।
পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক জানান, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী হয়রানির শিকার হয়, তা-হলে বিষয়টি লজ্জাজনক। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ হতে হবে। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে শুধু শিলচরে। করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি জেলায় কোনও পরীক্ষা কেন্দ্র না থাকায় পুরো চাপ পড়ে শিলচরে। তাই বদরপুরে ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকার ঘটনা বড় ব্যাপার নয়। তবে পুলিশ সুপার কথা দিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বরাক উপত্যকার তিন জেলা সহ ডিমা হাসাও জেলা নিয়ে শুধুমাত্র শিলচরে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। করিমগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে শিলচরের অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সময়মতো পৌঁছতে পারেনি। কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের বড় পরীক্ষা থাকা সত্বেও কোনও ধরনের বিশেষ যোগাযোগ বা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়নি।
বিধায়ক বলেন, সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়কগুলিকে যানজটমুক্ত রাখতে কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেয়নি তিন জেলা প্রশাসন। ফলে বদরপুরঘাট এলাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট-বড় গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একটা সময় এমন অবস্থা হয় যে, বদরপুর থেকে পাঁচগ্রাম পর্যন্ত গাড়ির লাইন লেগে থাকে। কিন্তু দেখা যায়নি কোনও ট্রাফিক পুলিশকে। জ্যামে আটক থাকায় পরীক্ষা দেওয়া হয়নি অনেক ছাত্র বা ছাত্রীর, বলেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।