উত্তর ২৪ পরগনা, ১৪ মে, (হি. স.): “পাঁচ বছর আগে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। কেউ পেয়েছেন? ওটা মোদীর গ্যারান্টি নয় ফোর টোয়েন্টি। ১০ কোটি চাকরি দেওয়ার কথা ছিল, তা দেয়নি।’’
গত দু’দিনের সভার মত মঙ্গলবারও বনগাঁয় নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল, অথচ দেননি বলে অভিযোগ করেছেন। বহু মানুষের কাছে নরেন্দ্র মোদীর ওই কথা দিয়ে তা না রাখা হয়ে উঠেছে একটি বিচার্য বিষয়। কিন্তু অন্তত পশ্চিমবঙ্গে জোরালোভাবে বিজেপি-র তরফে প্রচার হয়নি, অভিযোগটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন।
২০১৩ সালে ইউপিএ আমলে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কেরে জনসভায় নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “একবারও যদি বিদেশ থেকে অসাধু লোকেদের কালো টাকা উদ্ধার করে আনা যায় গরিব দেশবাসীর প্রত্যেককে ১৫-২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া সম্ভব। এত টাকা রয়েছে বিদেশে”।
এই মন্তব্যে তিনি কাউকে, কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। কেবল বিদেশে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকার পরিমাণের আন্দাজ দিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ইস্তাহারেও এই ১৫ লক্ষ টাকার কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু মোদীর বক্তব্যকে বিকৃত করে বিরোধীরা প্রচার শুরু করে। পরবর্তীকালে অমিত শাহকেও একান্ত সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তাতে শাহ বলেছিলেন, “যে কালো টাকা ফেরৎ আসবে দেশের গরিবদের কল্যাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর মূল বক্তব্য ছিল সেটাই। উনি বক্তৃতায় ওভাবে কথাটা পেশ করেছিলেন। ওটা একটা জুমলা।”
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তথ্য জানার অধিকার আইনে তাঁর দফতরে এ ব্যাপারে প্রশ্ন পেশ করা হয়েছিল। বিরধীদের প্রচারও অব্যাহত থাকে। কিন্তু সেই প্রচারকে নিস্ক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়নি বিজেপি।
মোদীর নাম না করে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘বলছে প্রধানমন্ত্রীর গ্যারান্টি। আমি নাম বলছি না। আগেও পাঁচ বছর আগে গ্যারান্টি দিয়েছিল। গ্যারান্টি দিয়ে কথা রাখা গেলে তার মূল্য আছে। কিন্তু কথা যদি না রাখা যায় এবং শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা হয়, তা হলে তাকে আমি গ্যারান্টি মানি না।

