নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মে: নেশার কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে পুলিশের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও কার্যত পুলিশ নেশাখোরদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ভূমিকা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নেশাখোর ও নেশা কারবারীরা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাদের নেশার বাণিজ্য বিস্তার করে চলেছে। নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে গোটা রাজ্যের যুবসমাজ। বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি ইত্যাদি। একই অবস্থা উনকোটি জেলার কৈলাসহরেও।
বিভিন্ন ধরনের নেশার যেন ঠেক হয়ে উঠেছে কৈলাসহর। উঠতি বয়সের ছেলে এমনকি মেয়েরাও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশায় আসক্ত হচ্ছে শহরের এবং গ্রামগঞ্জের নামিদামি পরিবারের ছেলে মেয়েরা। মহকুমায় ছোট-বড় সব বাজার-হাটে চলছে নেশা কারবার। যেমন দোকানপাটে সামগ্রী কেনাকাটা হয়, তেমনি ভাবে নেশা সামগ্রীও কেনাকাটা হচ্ছে। নেশা কারবারীরা বেশ সচ্ছল। যদিও পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান করে নেশা সামগ্রী আটক করছে।
এদিকে প্রতি সন্ধ্যায় ধর্মনগর সড়কে দেখা যায় কিছু কপোত কপোতি সড়কের কাছে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এরা কলেজ বা স্কুল পড়ুয়া ছেলে ও মেয়ে। এখন অনেক নেশা সামগ্রী বের হয়েছে যা সেবনে কোন কিছু বোঝা যায়না। গন্ধহীন নেশা সামগ্রী। নেশা সামগ্রী এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। বার্মা বা সিঙ্গাপুর থেকে মিজোরাম নাগাল্যান্ড হয়ে রাজ্যে আসছে। তেমনি রাজ্য থেকে গাঁজা ও অন্যান্য রাজ্যে পাচার হচ্ছে। বিভিন্ন পন্থায় নেশা সামগ্রী আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে আসছে যাচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় দেখেও না দেখার ভান ধরে থাকে। অনেক সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীর নেশার কবলে পড়ে অকালে ধংস হয়ে যাছে। অনেক মা-বাবারা তাদের বিপথগামী ছেলে-মেয়েদের সুপথে আর ফিরাতে পারছেন না।
নেশার করাল গ্রাসে যুবসমাজ আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। কিভাবে এই নেশার গ্রাস থেকে উওরন পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক মহল।
কত অল্প বয়সী ছেলেরা যে নেশার কবলে পড়ে বিপথগামী হয়ে পরেছে তা বলা মুশকিল। মানুষ সচেতন নাহলে নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া চা বাগান গুলোও এখন নেশার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তা থেকেও নেশা সামগ্রী শহরে আসছে। অনেক সময় মা-বাবার কাছে টাকা পয়সা চেয়ে ও ছেলে -মেয়েরা পায় না। তখন নেশার টানে চুরি ডাকাতি ছিনতাই ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে পরছে। গরীব ঘরের ছেলেদেরও একই অবস্থা। নেশার লাগাম টানতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।