আগরতলা, ৯ মে : রাজ্যে খাদ্য ও বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে। তাই এসকল পণ্যসামগ্রীর সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রির ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে রাজ্য সরকারের তরফে যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে তা জনসাধারণকে সুষ্ঠুভাবে মেনে চলার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে। প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ধর্মনগরস্থিত আইওসিএল ডিপো সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের মজুতের পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও তা অতিসত্বর স্বাভাবিক করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লামডিং- বদরপুর অংশের জাটিঙ্গা-লামপুর এলাকায় অতিবৃষ্টিতে রেললাইনে ধূস পড়ায় বিগত কিছু দিন যাবৎ পেট্রোপণ্য সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহিরাজ্য থেকে সড়কপথে রাজ্যে আমদানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে উক্ত এলাকায় রেললাইন সারাইয়ের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রায়াল রান হিসেবে গতকাল জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্রেন উক্ত এলাকা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে রেললাইনে ফের সমস্যা দেখা দেয়। তবে তা সারাইয়ের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে রেলপথে খুব শীঘ্রই পণ্য পরিবহণ পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।
প্রেস রিলিজে আরও জানানো হয়েছে, আইওসিএল কর্তৃপক্ষ রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ বন্ধ হওয়ার পর থেকেই আসামের বেতকুচি, লামডিং ও শিলচর ডিপো থেকে সড়ক পথে ট্রাক ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে রাজ্যে নিয়মিত পেট্রোল ও ডিজেল আমদানি করছে। আগামী কিছুদিন রেল পরিষেবা চালু না হওয়া পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী, পেট্রোল, ডিজেল সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সড়ক পথে রাজ্যে আমদানি করা হবে।