কলকাতা, ৪ মে, (হি.স.): “কিছু আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে কী হয়েছে তা মিডিয়ার সামনে বলব না। তবে বাকিটা কী হয়, দেখতে থাকুন।” শনিবার দুপুরে ডেরেক ও ব্রায়েনের বেকবাগানের বাড়িতে আধঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এই জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ।
ব্রাত্য বসুর ‘মধ্যস্থতা’য় কিছুক্ষণের বৈঠক! ছিলেন ‘অভিমানী’ কুণাল ঘোষ। তাতে কি ‘বরফ গলল’? ‘দুঃখ’ মিটল? তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা সেরে বেরিয়ে ‘অভিমানী’ কুণাল ঘোষের গলায় আবার গানের সুর। শোনালেন, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে।’ সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, “তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।” যদিও ‘মধ্যস্থতা’র কথা মানতে রাজি হননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মুখপাত্র ব্রাত্য বসু।
কুণাল বলেন, প্রশ্ন করা হয়েছিল, আলোচনায় কি তাঁর অভিমান মিটেছে? কুণালের ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, “এভাবে হ্যাঁ বা না-তে কিছু বলা যায় না। ক্ষতস্থানের চিকিৎসা শুরু হলেই বোঝা যায় না আঘাত সেরেছে কিনা।” দলে হারানো পদ ফিরে পাবেন? ‘পদ গৌণ, ভালবাসাটাই মূল’, দাবি তাঁর।
যদিও ব্রাত্য বসুর মধ্যস্থতায় কুণালকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। বরং তাঁর দাবি, “আমি একজন তৃণমূলের লোক, আর একজন তৃণমূলের লোককে নিয়ে আর একজন তৃণমূলের লোকের বাড়িতে এসেছিলাম। এটা নিয়ে এতো হইহইয়ের কী আছে? ভোটের রণনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। সব তো প্রকাশ্যে বলা যায় না।”