আগরতলা, ২৯ এপ্রিল : ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর জেলা সভাপতি কাজল দাসের হাতে নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত থাকা প্রিসাইডিং অফিসার শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন আধিকারিকদের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে আদালতে ধমর্নগর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরর্বতীতে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে , ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা নির্বাচনের দিনে বিজেপির জেলা সভাপতি কাজল দাসের হাতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার নারায়ন চক্রবর্তী। বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের ২২নং বুথ সেন্টারের নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত থাকা প্রিসাইডিং অফিসার নারায়ণ চক্রবর্তীকে বুথ সেন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের সামনেই টেনে হিঁচড়ে মারপিট সহ হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য কাজল দাস সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল কদমতলা থানায়।
কদমতলা থানার ওসি জয়ন্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, গত ছাব্বিশে এপ্রিল ভোটের দিন ৫৫/২২ নং বুথ সেন্টারে ভোট পর্ব চলাকালীন অবস্থায় সেখানে দায়িত্ব থাকা প্রিসাইডিং অফ সার নারায়ণ চক্রবর্তীকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করা হয়েছিল।বিষয়টি নির্বাচনী আধিকারিকদের নজরে আসার পর ধর্মনগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার, সেক্টর অফিসার, সিনিয়র সেক্টর অফিসার, মাইক্রো অবজারভারা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তাদের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জেলা সভাপতি কাজল দাস সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ড বিধির ৩৫৩/৩৩২/১৩১/৩৪ এবং আরপি ১৩১ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ কাজল দাসকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ত্রিপুরা কর্মচারী ফেডারেশন।এই ঘটনায় বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিতর্কিত বিধায়ক যাদব লাল নাথের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সত্যতা যাচাই করার জন্য যাদব লাল নাথে র কাছে বারবার ফোন করা হচ্ছে। কিন্তু বিধায়কের সাথে কোনোভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।