নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৯ এপ্রিল: দীর্ঘ বছর যাবৎ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওএনজিসি কর্তৃক মাটির নিচে ডিনামাইট ফাটিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান চলছে। কিন্তু এবছর এই ডিনামাইট ফাটানো ঘিরে ভয়ংকর ঘটনা ঘটছে সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। সামান্য গর্ত করে ডিনামাইট ফাটানোর কারণে আশেপাশের বাড়ি ঘরের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। বাড়ি ঘরের দেওয়াল ফেটে যাচ্ছে। কোথাও বা জ্যান্ত গাছ মাটি থেকে আলগা হয়ে যাচ্ছে।
গত প্রায় দুমাস ধরে বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষজন ওএনজির এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে কখনো রাস্তা অবরোধ ,কখনো ওএনজিসি কর্মীদের ঘিরে ধরা, কোনটাই বাদ রাখেনি। কিন্তু এই সাধারণ মানুষের কথা শোনার কেউ নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দরবারে গিয়েও লাভ হয়নি। কারণ যেখানেই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের বাড়িঘর রক্ষায় আন্দোলন করার জন্য তৈরি হচ্ছে সেই জায়গায় গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা নাকি উল্টো কাজ করছেন।
অভিযোগ, ওএনজিসির এই অন্যায় কাজের জন্য প্রচুর টাকা নাকি খরচ করছেন বিভিন্নভাবে। প্রশ্ন হল ,দীর্ঘ বছর যাবৎ ওএনজিসি এই ধরনের কাজ করে আসলেও কখনো সাধারণ মানুষ এমনভাবে বিক্ষোভ দেখায়নি । এবছর যারা এ কাজের দায়িত্ব রয়েছে তারা নাকি সঠিক নিয়ম না মেনে সামান্য মাটি গর্ত করেই ডিনামাইট পাঠিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে যেই এলাকা দিয়ে ডিনামাইট পাঠাচ্ছে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িঘর ফাটল ধরছে। এলাকার একাধিক পরিবারের বসতঘর ফেঁটে চৌচির ।
উওর চড়িলাম ফকিরামুড়া,পরিমল চৌমুহনী এলাকায়। করই মুড়া প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ পরিবার। ওএনজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। জানাৎযায় বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্তর চলিলাম ফকিরামুড়া, পরিমল চৌমুহনি এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধানে ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ ঔকোনো রকম নোটিশ ছাড়াই ফকিরামুড়া, পরিমল চৌমুহনি এলাকায় মাটির নিচে বোমা ফাটাচ্ছেন।
যার ফলে ফকিরামুড়া,পরিমল চৌমুহনি এলাকার হাবিবুর রহমান ও ফরিদ মিয়া নবনির্মিত বসত ঘর ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়। হাবিবুর রহমান ও ফরিদ মিয়ার সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ওএনজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে বসত ঘরের পাশে ডিনামাইট ফাটাতে অনেকবার বারণ করেছেন। কিন্তু ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ হাবিবুর রহমানের ও ফরিদ মিয়ার পরিবারের কথায় কোনরকম কর্ণপাত করেননি এবং এলাকায় মাটির নিচে ডিনামাইট ফাটানোর ফলে একাধিক পরিবারের বসতঘর ফেঁটে চৌচির হয়ে যায় । সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।