নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২১ এপ্রিল: দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা রবিবার সভা করলেন উপ্থাখালী ময়দানে। আগামী ২৬ এপ্রিল রাজ্যে হতে চলেছে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভাজপা দলের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মহারানী কৃতি সিং দেববর্মা। এই প্রার্থীর সমর্থনে যুবরাজনগর বিধানসভা এলাকায় উপ্থাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঠে এক বিশাল সমাবেশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, উত্তর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর জেলা বিজেপির সভাপতি কাজল দাস সহ জেলা এবং মন্ডলের বিভিন্ন স্তরের নেতা নেতৃবৃন্দ।
এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের তথা দেশের উন্নয়ন কেমন করে সাধিত হচ্ছে তা বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করেন। মোদি সরকারের হাত ধরে দেশ কেমন করে বিভিন্ন ধরনের বহিরাগত আক্রমণ থাকে নিজেদেরকে নিরাপদ রেখেছে এমন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেমন করে প্রদান করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। পাশাপাশি ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের ফলে এই রাজ্যে হিরা মুখ কেমন করে মানুষ উপভোগ করছে তা একের পর এক তুলে ধরেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে প্রভূত উন্নয়ন হাজীরা হয়েছে তা প্রতিটি ক্ষেত্রে তা বুঝিয়ে দেন। রেল ব্যবস্থা সড়ক ব্যবস্থা বিমান ব্যবস্থা প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্রিপুরার রাজ্য হাজার অন্যান্য উন্নত রাজ্যের থেকে পিছিয়ে নেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ নিজেদের সাধ্যের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান প্রজন্ম এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা শক্ত ভিত স্থাপন করে চলেছেন। বাম সরকারের দীর্ঘ শাসনে রাজ্য পিছিয়ে পড়েছিল প্রতিটি ক্ষেত্রে নেই আর আর কেন্দ্র টাকা দেয় না এই অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন রাজ্যের মানুষকে শোষণ করেছে আর নিজেদের পকেটকে ভারী করেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্য এগিয়ে চলেছে। যেসব যুবক-যুবতীরা নিরাশ হয়ে বসেছিল আজ তাদের প্রচেষ্টায় রাজ্য ভারতবর্ষে একের পর এক শিরোপা অর্জন করে চলেছে। আসলে বামফ্রন্ট আমলে মানুষের মানসিকতাকে এমন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল যে একেবারে মানুষ নেগেটিভ চিন্তা করতে করতে তলা নিতে গিয়ে পৌঁছেছিলাম।
২০১৮ সালের পর থেকে বলতে গেলে এই রাজ্যে প্রকৃত উন্নয়ন শুরু হয়েছে। আর ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতবর্ষের প্রকৃত উন্নয়ন চলছে। ২০৪৭ সালে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা সঠিক উপায় হলে আগামী হাজার বছর এই ভারত পৃথিবীর মধ্যে একটা বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে থাকবে। তাই রাজ্য তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভারতে জনতা পার্টির প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে মোদিকে তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অসীন করার আহবান জানান।