নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ এপ্রিলঃ
ভারত বিরোধী জিগিড় কিভাবে তুলতে হয়, দেশ বিরোধী পদক্ষেপ কিভাবে নিতে হয়, কিভাবে দেশীয় শিক্ষা সংস্কৃতিকে বিপন্ন করে দিয়ে বিদেশি সংস্কৃতিকে আগলে নিয়ে ভারতবর্ষকে বিপন্ন করা যায়, তার চক্রান্ত প্রকাশ পেয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস উভয়ের নির্বাচনী ইস্তেহারে। আজ প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন প্রদেশ বিজপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস ও সিপিআইএম এর নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনী ইস্তেহারে কিভাবে দেশকে পিছিয়ে নেওয়া যায়, কিভাবে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়, যুবক-মহিলাদের পিছিয়ে দেওয়া যায়, এই সব বিষয়ই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে বলেন, বিজেপি যে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে, তা হল মোদীর গ্যারেন্টি। অর্থাৎ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর দেশবাসীর জন্য কিকি করবেন তার দলিল। তবে কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারকে ন্যায়পত্র নাম দিলেও তা সম্পূর্ণভাবেই একটি অন্যায়পত্র। এই নির্বাচনী ইস্তেহারে কিভাবে দেশকে পিছিয়ে আনা যায়, কিভাবে নারী পুরুষকে পিছিয়ে আনা যায়, দেশের শিক্ষার অবনতি করা যায় তা লেখা রয়েছে। এছাড়াও ধর্মের নামে বিভাজন, সিএএ বাতিল করা, জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল সহ প্রভৃতি বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে বাম ও কংগ্রেসদের নির্বাচনী ইস্তেহারে।
এদিন তিনি আরো বলেন, এত বছর ধরে কংগ্রেস যা যা করেছে তা দেশের সভ্যতা কে জলাঞ্জলি দেওয়ার জন্য। দেশীয় সভ্যতাকে ভুলে গিয়ে বিদেশি সভ্যতা কে ভারতের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা বরাবরই। তিনি বলেন আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সকল কাজ গুলি করেছেন দেশের উন্নয়নে সেগুলোকে কিভাবে ধ্বংস করা যায়, দেশের প্রগতিকে উন্নতিকে বিনষ্ট করা যায় তারই একটি প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে।
সিপিআইএমের নির্বাচনী ইস্তেহার সম্পর্কে সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, কমিউনিস্টদের নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রথম পাতাতেই রয়েছে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। অর্থাৎ দারিদ্রতা দূর করা, বেকারত্ব দূর করা, কিংবা দেশের উন্নয়নে কাজ করা কোন কিছুই তাদের লক্ষ্য নয়। বিজেপিকে হারানোরই তাদের মূল লক্ষ্য। যারা রাষ্ট্রের কথা বলে তাদের এ ধরনের ইস্তেহারে তাদের রাষ্ট্রপ্রেম কতটুকু রয়েছে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন। এদিন বাম ও কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহার কে দেশবিরোধী ইস্তেহার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।