আগরতলা, ৯ এপ্রিল : স্ত্রীকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার করেছেন স্বামী।এমনটাই অভিযোগ তুলে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে আমতলী থানা এলাকার নেতাজী সুভাষ কলোনির কাজল সরকারের মেয়ে উমা সরকারের আমতলী চৌধুরী পাড়ার শ্যামল চৌধুরীর ছেলে শুভ্রজিৎ চৌধুরীর সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মবার পর থেকেই স্বামী-শুভ্রজীত চৌধুরী আকন্ঠ মদ্যপান করে স্ত্রী উমা সরকারের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। দিন দিন এই নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এক সময় প্রতিবাদ জানায় গৃহবধূ উমা সরকার।
গৃহবধূ উমা সরকার জানিয়েছেন, প্রতিবাদ জানাতেই স্বামী সহ শাশুড়ির সন্ধ্যা চৌধুরী নির্যাতন শুরু করে গৃহবধূ উমা সরকারের উপর। পরে স্বামী সহ শাশুড়ির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ উমা সরকার তার বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছে। পরে কয়েক দফায় গ্রাম সভার মাধ্যমে গৃহবধূ তার স্বামীর ঘরে ফিরে গিয়েছিল। কিছুদিন ঠিকঠাক থাকলেও পুনরায় আবার শাশুড়ি ও স্বামীর নির্যাতন শুরু হলে গত তিন বছর আগে গৃহবধূ উমা সরকার তার বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছে।
তিন বছর পর স্বামী শুভ্রজিৎ চৌধুরী স্ত্রীকে ফিরে পেতে লিগ্যাল সার্ভিস এর দ্বারস্থ হয়। পরে লিগ্যাল সার্ভিসে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত অনুসারে গৃহবধূ উমা সরকার তার স্বামীর বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে আবার ফিরে যায়। সেখানে দুইদিন ভালো থাকলেও তিন দিনের মাথায় আবার স্বামীর সেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। তিন দিনের মাথায় রাতে ঘুমের ঘরে শুভ্রজিৎ চৌধুরী তার স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে শরীরের বিভিন্ন গোপন জায়গায় আগুন দিয়ে ঝলসে প্রাণে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। রাতে গৃহবধুর ঘুম ভাঙতেই ঘটনাটি আন্দাজ করতে পারে। পরে নিজের জীবন বাঁচাতে সন্তানকে নিয়ে আবার পুনরায় বাবার বাড়িতে চলে আসে ওই গৃহবধূ।
তিনি আরো বলেন, স্বামী শুভ্রজিৎ চৌধুরী, শশুর শ্যামল চৌধুরী এবং শাশুড়ির সন্ধ্যা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে প্রাণে মারার অভিযোগ এনে আমতলী থানায় লিখিত মামলা দায়ের করেছেন।