BRAKING NEWS

মর্যাদাসম্পন্ন করিমগঞ্জ সাধারণ আসনে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা, সবচেয়ে বিত্তবান এআইইউডিএফ প্রার্থী

হলফনামায় আয়ব্যয়ের খতিয়ান কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীরও

।। স্নিগ্ধা দাস ।।

করিমগঞ্জ (অসম)৮ এপ্রিল (হি.স.) : লোকসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু, হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। জোরকদমে প্রচার চলছে শাসক-বিরোধী দলের প্রার্থী ও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। দ্বিতীয় দফায় করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। মনোনয়ন পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, বাম দল সহ মোট ২৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ মর্যাদাসম্পন্ন করিমগঞ্জ সাধারণ কেন্দ্রে।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মর্যাদাসম্পন্ন করিমগঞ্জ সাধারণ আসনে মূলত লড়াই হবে তিন দলের মধ্যে। এঁরা যথাক্রমে কংগ্রেসের হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী, বিজেপির কৃপানাথ মালাহ এবং এআইইউডিএফ-এর সাহাবুল ইসলাম চৌধুরী।

অসমের রাজনীতিতে বহুচর্চিত করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ছেন উচ্চশিক্ষিত গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী। মর্যাদাসম্পন্ন করিমগঞ্জ আসনে বিজেপি যখন সৰ্বশক্তি দিয়ে ময়দানে নেমেছে, তখন কোনও ধরনের সাংগঠনিক শক্তি ছাড়াই একাই একশোর লড়াইয়ে অবতীৰ্ণ হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ।

একাংশ রাজনৈতিক মহলের কথায়, এবার করিমগঞ্জ আসনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া দল। আর সংরক্ষণমুক্ত হওয়ার পর থেকে করিমগঞ্জ আসনের জন্য মনিটরিং করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

এই আসনে এখন পর্যন্ত যতটুকু বোঝা যাচ্ছে, এখানে ত্রিকোণ লড়াইয়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এআইইউডিএফ প্রার্থিত্ব দিয়েছে ধনকুবের সাহাবুল ইসলাম চৌধুরীকে। করিমগঞ্জ আসনে স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তিতে এগিয়ে এআইইউডিএফ প্রার্থী সাহাবুল। এদিক থেকে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালাহ তিনবারের বিধায়ক সহ বর্তমান সাংসদ আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে।

ছাত্রজীবনে দুল্লভছড়া হিন্দি বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কৃপানাথ। পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনীতির যাত্রা শুরু হলে রাতাবাড়ির তিনবারের বিধায়ক থেকে উপাধ্যক্ষ হয়েছেন। এর পর করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের সাংসদ থেকে ২৪-এর নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী। দীর্ঘ বিজয়মালার নায়ক এবারের বিজেপি-প্রার্থী কৃপানাথ মালাহ।

করিমগঞ্জের বিজেপি-প্রার্থীর নেই কোনও গাড়ি, কৃষি জমি। নেই কোনও ধরনের অপরাধঘটিত মামলা। তবে করিমগঞ্জের বিদ্যানগর চা বাগানে পৈত্রিক এবং গুয়াহাটি হাতিগাঁওয়ে রয়েছে নিজস্ব বাড়ি।

১৯৯৭ সালে করিমগঞ্জ কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক প্রার্থী কৃপানাথ মালার হাতে নগদ রয়েছে ৫ লক্ষ এবং স্ত্রী নিভা মালার ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া কৃপানাথের পোস্ট অফিসে ২.৫ লক্ষ, এসবিআই লাইফ অ্যাকাউন্টে ৬ লক্ষ, এইচএসবিসিতে রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। রামকৃষ্ণনগরে এসবিআই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ১৫৩ টাকা, ধর্মনগরে ইন্ডাস ব্যাংকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, গুয়াহাটি কানাড়া ব্যাংকে ৯৯ হাজার ৪২০ টাকা এবং নয়াদিল্লি এসবিআই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২ লক্ষ ৫ হাজার ৩১ টাকা। সস্ত্রীক কৃপার রয়েছে ১.৫ লক্ষ টাকার ১৩০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার। নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং বিনিয়োগের মোট অর্থের পরিমাণ ৩১ লক্ষ ৪৫ হাজার ১০৪ টাকা। তবে গত মেয়াদে বিজেপি প্রার্থীর মাথায় কোনও ঋণের বোঝা না থাকলেও বর্তমানে গুয়াহাটি কানাড়া ব্যাংকে হাউস লোন রয়েছে ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৮২ টাকার।

২০২৪ সালের নির্বাচনে করিমগঞ্জের রিটার্নিং অফিসারকে পেশকৃত মনোনয়ন পত্রের হলফনামায় এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সাংসদ স্ত্রী নিভা মালাহের ব্যবসা থাকলেও তাঁর নামে গুয়াহাটি কানাড়া ব্যাংকে রয়েছে ৯৩ হাজার ৭০০ টাকা। তিন সন্তানের নামে কোনও নগদ অর্থ বা পৃথক সম্পত্তি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবার কিছুটা হলে ধনী হয়েছেন বিজেপি-প্রার্থী। বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাংক ডিপোজিটও। গতবারের হলফনামায় স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৪০ টাকা, এবার তা বেড়েছে দেড়গুণ। ২০১৯ সালের মনোনয়নের হলফনামায় ব্যাংক ডিপোজিট ৭.১৫ থাকলেও ২০২৪ সালে তা দ্বিগুণ হয়েছে।

উল্লেখ্য রাতাবাড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চল বিদ্যানগর চা বাগানের মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৭৫ সালে কৃপানাথের জন্ম। বাবা কৃষ্ণমোহন মালাহ ছিলেন স্থানীয় এলপি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর মা মায়ারানি মালা গৃহিণী। ২০০২ সালে পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে কৃপানাথ মালার রাজনীতি শুরু হয়। ২০০৩ সালে রাতাবাড়ির বিধায়ক রথীশরঞ্জন চৌধুরীর অকাল প্রয়াণে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এর পর আর রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০১১ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে পর পর দুবার রাতাবাড়ির বিধায়ক নির্বাচিত হন কৃপানাথবাবু। ২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অসম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ পদে মনোনীত হলে ২০১৯ সালে করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের সাংসদ হন তিনি। আর ২০২৪ সালে ফের বিজেপি দলের প্রার্থী।

এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য নিয়ম মোতাবেক আর্থিক অবস্থার হলফনামায় নিজের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব পেশ করেছেন বিএ (হ), এমএ (অ্যারাবিক), এলএলবি, এলএলএম ডিগ্রিধারী কংগ্রেস প্রার্থী আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী। সে হিসাবে দেখা গেছে, কংগ্রেস নেতার হাতে রয়েছে মাত্র ১ লক্ষ টাকা। স্ত্রী সুলতানা আমানা চৌধুরীর হাতে রয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। তাঁর ব্যক্তিগত কোনও স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও স্ত্রীর কাছে রয়েছে ৯০ গ্রাম ওজনের ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৫০ টাকার স্বর্ণালঙ্কার। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার, কংগ্রেস প্রার্থীর যেমন কোনও ঋণ নেই, তেমনই কোনও ধরনের মামলাও তাঁর বিরুদ্ধে নেই। রয়েছে একটি মাত্র ইনোভা ক্রিস্টা গাড়ি।

এছাড়া পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে মালিকানা সত্বে করিমগঞ্জে কৃষি জমিও রয়েছে তাঁর। রয়েছে করিমগঞ্জ এবং গুয়াহাটির উলুবাড়ি মৌজায় আবাসন।

হলফনামা মোতাবেক ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ১৫০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৪ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩০ টাকা। হলফনামায় উল্লেখ করা মতে, প্রার্থীর এসবিআই গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় রয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৯৫২ টাকা, অসম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের করিমগঞ্জ শাখায় রয়েছে ২৬ হাজার টাকা। তাছাড়া ইনস্যুরেন্স পলিসি খাতে আমানত রয়েছে ৮.৫ লাখ টাকা।

স্ত্রী সুলতানা আমানা চৌধুরীর স্টক মার্কেট, শেয়ার মার্কেট, ইনস্যুরেন্স পলিসি খাতে কোনও বিনিয়োগ না থাকলেও এক্সিস ব্যাংকের শিলপুখুরি শাখায় রয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৩৯ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড আমবাড়ি শাখায় রয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭০৩ টাকা এবং এইচডিএফসি ফেন্সিবাজার শাখায় রয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

সব মিলিয়ে পৈতৃক সম্মতিতে লাভকৃত জমি, করিমগঞ্জ এবং গুয়াহাটির বাড়ি সহ কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৯ কোটি টাকা এবং স্ত্রী সুলতানা আমানা চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৮.৫ লাখ টাকা।

আজ সোমবার হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, দলীয়ভাবে জোরদার প্রচার অভিযান চলছে তাঁর। মনোনয়ন পেশ করার পর থেকে মানুষের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। শাসক দল বিজেপি এই আসন ধরে রাখতে যতই লড়াই করুক না-কেন, এবার সেই আশা আর পূরণ হবে না। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে। কোনও ধর্মীয় সুড়সুড়ি কাজ করবে না করিমগঞ্জ আসনে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। তাই বিজয় নিশ্চিত।

অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এআইইউডিএফ প্রার্থী সাহাবুল একজন বিত্তবান ব্যক্তি। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর হাতে গড়ে তোলা এনজিও গ্রিন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সুবাদে উত্তর করিমগঞ্জে ‘দাদাভাই’ নামেই বেশি পরিচিত সাহাবুল। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মোতাবেক মনোনয়ন পত্রে প্রার্থীর আয়-ব্যয়-বিনিয়োগ-সম্পত্তির খতিয়ান বিস্তারিত হিসাব দিতে হয়। প্রার্থী তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তিরও হিসাব উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। হলফনামা অনুযায়ী সস্ত্রীক সাহাবুল কোটিপতি। মনোনয়ন পেশের সময় তাঁর বিরুদ্ধে রুজুকৃত এফআইআর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি। ধনকুবের সাহাবুলের বিরুদ্ধে শিলং এবং কামরূপ মেট্রো জেলায় ঝুলছে দুটি করে মামলা।

হলফনামা মোতাবেক ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৭০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৭, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭২৬ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩০ টাকা। তাঁর স্ত্রী শাহানারা বেগম চৌধুরীর আয় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯০৩ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯০৩, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১০ লাখ ২৮ হাজার ১১৮ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৮০ টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা অনুযায়ী তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ১৬২ টাকা এবং স্ত্রী শাহানারা বেগম চৌধুরীর হাতে রয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩৮ টাকা। প্রার্থীর স্ত্রীর অলঙ্কারে নিজস্ব কোনও বিনিয়োগ না থাকলে তাঁর গয়নার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে আনুমানিক ৬ লাখ টাকা।

নিজের নামে এক্সিস ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৬২ টাকা, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার ৬৪২ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৮৩২ টাকা, আইসিআইসিআই ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১৬,৪৪৫ টাকা এবং পিএনবি (পূৰ্বতন ইউবিআই) ব্যাংকে দুটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট মিলে রয়েছে ৪১,৮০৯ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ১৩০ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৫,৬১২ টাকা, এসবিআই কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৬৬৩ টাকা, বন্ধন ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৫০ হাজার ৯৬২ টাকা এবং ইউবিআই ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪,৫১৬ টাকা।

ব্যবসায়ী সাহাবুলের কিন্তু ঋণের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়। হলফনামায় উল্লেখ করা অনুযায়ী, তিনি স্থাবর অস্থাবর মিলে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার মালিক হলেও, এ মহূর্তে বাজারে তাঁর ঋণ রয়েছে ৩.৪৯ কোটি এবং স্ত্রীর ঋণ ২.২৫ কোটি টাকা। সুতরাং ৫.৭ কোটি টাকার ঋণে বন্দি সস্ত্রীক সাহাবুল। তাঁর স্ত্রী শাহানারা বেগম চৌধুরীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা। এআইইউডিএফ প্রার্থী দাখিলকৃত হলফনামায় জানিয়েছেন, অনেক কৃষি ও বাণিজ্যিক জমির মালিক তিনি। তাঁর নিজের রয়েছে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি, স্ত্রী শাহানারার একটি এক্সক্যাভ্যাটর (জেসিবি) এবং তিনটি ট্রাক।

উল্লেখ্য, সাহাবুল ইসলাম চৌধুরী ব্যবসায় চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করলে রাজনীতি জীবনে কিন্তু খুব একটা সফল হতে পারেনি। ২০০৭ সালে কংগ্রেসের ব্যানারে মাইজগ্রাম-সুতারকান্দি আসন থেকে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হলে সেখান থেকেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু। এর পর ২০১৬ সালে এআইউডিএফ, ২০২১ সালে অখিল গগৈয়ের ‘রাইজর দল’-এর টিকিটে প্রার্থী হয়ে উত্তর করিমগঞ্জ আসনে বিধানসভা নির্বাচনে অবতীর্ণ হলেও বিজয়মুকুট তাঁর ভাগ্যে জুটেনি। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফ দলের টিকিটে ভোটের ময়দান কাঁপালেও ভাগ্য কতটুকু সহায় হবে তা জানা যাবে সময়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *