নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৭ এপ্রিল: রবিবার খোয়াইয়ে এক স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ও রেলি সংগঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীর সহ সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ এই সচেতনতা শিবির ও রেলীতে অংশগ্রহণ করেন। খোয়াই মহকুমা আইন সেবা কর্তৃপক্ষ কমিটির উদ্যোগে খোয়াই জেলা হাসপাতালের সহযোগিতায় খোয়াইতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রবিবার অনুষ্ঠানের শুরুতে রিসোর্স পার্সন ডঃ শরদিন্দু রিয়াং , জেলা হাসপাতালের ডঃ শ্রীমতি মালবিকা দেববর্মা, জেলা হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়ারী ওয়ার্কার ও খোয়াই মহকুমা আইন সেবা কমিটির আইনি সেচ্ছাসেবক অমর চন্দ্র দাসের উপস্থিতিতে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে এক স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক রেলী বের করা হয়। খোয়াই শহর পরিক্রমা করে।
রেলীটি শহর পরিক্রমা করার পর খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বি. আর. সি. হলে সকলকে নিয়ে এক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ওটরিয় ও ফুলের তুরা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা তথা রিসোর্স পার্সন ডঃ শ্রী শরদিন্দু রিয়াং উনার আলোচনায় বলেন প্রতি বছর ৭ ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। এই বছর তথা ২০২৪-র বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস এর থিম হল – আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার এবং এই থিম এর তাত্পর্য তুলে ধরেন।
তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প তথা আয়ুসমান ভারত, প্রধান মন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরবর্তী বক্তা তথা আইনি সেচ্ছাসেবক শ্রী অমর চন্দ্র দাস তার আলোচনায় বলেন আজ সারা বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষ তথা আমাদের রাজ্যও যথেষ্ট উত্সাহের সাথে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। হো – আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মানুষকে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করার প্রয়াস করে থাকেন।
তাদের উদ্দেশ্য হল প্রতিটি মানুষই যেন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়। তাছাড়া খোয়াই মহকুমা আইন সেবা কমিটি কিভাবে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে তা তোলে ধরেন। সমাজের সকল অংশের মহিলা, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিরা, তফশিলি জাতি – উপজাতি সব ধরনের মানুষের জন্য বিনামূল্যে বিভিন্ন আইনি পরামর্শ ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করে।তিনি আরো বলেন বর্তমান সমাজে বাল্যবিবাহ ও গারহস্থ্য হিংসার মত বিষয় গুলো আজও সমাজকে কলুষিত করে চলেছে। তাই এই সকল অপরাধ বন্ধ করতে হলে সবার প্রথমে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
সচেতনতাই এই সকল অপরাধ বন্ধ করার একটি উন্নত চাবিকাঠি। সবশেষে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শ্রী রামকৃষ্ণ মাল্যবর্মন মহোদয় উনার আলোচনায় আজকের দিনের গুরুত্ব তোলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ নিজের অজ্ঞানতায় ও অসাবধনতার জন্য আজ নানা ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। তাই সচেতনতাই হলো বেরিয়ে আসার একটি বড় হাতিয়ার।

