নয়াদিল্লি, ৫ এপ্রিল: প্রথমবারের মতো, ভারতের নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচিত জেলাগুলির মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং ডিইওদের সাথে ‘ লো ভোটার ট্রানআউট” – বিষয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ২৬৬ টি শহুরে এবং গ্রামীণ এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার।
সিইসি রাজীব কুমার পৌর কমিশনার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এমন একটি নির্দেশ দিয়েছেন যেন প্রতিটি এলাকায় ভোটাররা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী হয়, এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। চলমান সাধারণ নির্বাচন ২০২৪-এর ভোটগ্রহণের আগে, ভারতের নির্বাচন কমিশন পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনে ভোট প্রদানে অংশগ্রহণের হার কম থাকায় এবারে সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের ভোটদান বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেছে।
আজ শুক্রবার নয়াদিল্লির নির্বাচন সদনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘ লো ভোটার ট্রান আউট, শীর্ষক এক সম্মেলন। সেখানে ভোটদানের মাত্রা বৃদ্ধি করার বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা করেছেন নেতৃত্বরা। প্রধান শহরগুলির মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচিত জেলা নির্বাচন অফিসাররা ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে আলোচনা করেছেন।
এদিনের সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার শ্রী জ্ঞানেশ কুমার এবং শ্রী সুখবীর সিং সাধু। এ উপলক্ষে কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের উদাসীনতা সংক্রান্ত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির এনসিটি, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান, এবং ঝাড়খণ্ডের মতো ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০১৯ সালের লোকসভার সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় গড় ৬৭.৪০ শতাংশের 1 চেয়ে কম ভোটার ছিল । ৯টি রাজ্যজুড়ে মোট ৫০টি গ্রামীণ পিসিগুলির মধ্যে কম ভোটার উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়েছে জাতীয় গড় অনুযায়ী ২০১৯ সালে।
তাই ভোটদানের মাত্রা বৃদ্ধি করতে বুথস্তর থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করার পাশাপাশি ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে থাকবে নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন মেসেজ সাধারন মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া। ভোটারদের সচেতন করতে বিভিন্ন পোস্টারিং, এই পোস্টার গুলি বিভিন্ন পার্ক, মল, বাজারে মানুষকে সচেতন করা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন ম্যারাথন, ওয়াকথন, সাইক্লোথন এর মত অনুষ্ঠান করে মানুষকে সচেতন করা, এসভিইইপি এর মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দানের সচেতন করে তোলা।