আগরতলা,১ এপ্রিল: রাজ্যে গরু পাচার চক্রের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের মুহূর্তে ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গরু বাংলাদেশে প্রতিবারেই পাচার হয়ে থাকে। গরু পাচার রোধে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনগণের তরফ থেকে বারবার দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে। তাতে নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।
উত্তর জেলা, ঊনকোটি জেলা সহ সোনামুড়া বক্সনগর এলাকা সহ রাজ্যে যে গরু পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে তার এক পান্ডাকে ধর্মনগর থানার পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সর্বশেষ গ্রেপ্তার করেছে কৈলা শহরের ফুলবাড়ি কান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুন্দর মিয়াকে।
প্রথমে লিটন দাস ওরফে নান্টু তাকে পানিসাগর মহাকুমার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজের বাড়ি থেকে ২৬ মার্চ অর্থাৎ রং খেলার দিন গ্রেপ্তার করাতে হয়েছিল। তাকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ৩৮২এফ ৩৫৩ ৩৪ আইপিসি এবং ইলেভেন ডি অফ এনিমেল প্রটেকশন অ্যাক্ট তা ছাড়া সেক্টর এন্ড ড্যামেজ অফ পাবলিক প্রপার্টির ধারা প্রণয়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য চব্বিশ মার্চ ধর্মনগরের আনন্দবাজার এসপিও ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে যখন দুটি পিকআপ গাড়িতে মোট নয়টি মহিষ ধরা পড়েছিল।
সেই ঘটনাকে সাঙ্গ করে প্রথমে লিটন দাস তারপর তাদের মাস্টারমাইন্ড সুন্দর মিয়াকে পুলিশের জালে তুলে আনলো উত্তর জেলার পুলিশ। এইসব গরু মহিষ কারবারীদের কারণে উত্তর তথা সারা রাজ্য নাজেহাল এখন লিটন দাস, সুন্দর মিয়া ধরা পড়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো কোন কোন মহারথী এ পাচার বাণিজ্যের সাথে যুক্ত এক এক করে পুলিশের জালে চলে আসবে বলে উত্তর জেলা পুলিশ প্রশাসনের ধারণা।